দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এর ফলে গত পাঁচ কার্যদিবস পর ফের দরপতনে পুঁজিবাজার। তবে গত পাঁচ কার্যদিবস সূচক বাড়লেও অধিকাংশ বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের দাম বাড়েনি। হাতেগোনা কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ারে ভর করে সূচক বেড়েছে। এ অবস্থায় বাজার স্থিতিশীল রাখতে হলে ভালো মৌল ভিত্তি শেয়ার বাড়াতে হবে।

এছাড়া বর্তমান পুঁজিবাজারে তারল্য নয়, বরং বিনিয়োগকারী মাঝে আস্থার সংকটে দুর করতে পারলে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে বলে মনে করছেন একাধিক অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীরা। কারণ টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীরা চরম আস্থা সঙ্কটে ভুগছেন। এ অবস্থায় বাজারকে দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীল করতে হলে সুচকের যেমন টানা উত্থান দরকার তেমনি আস্থা সংকট দুর করতে হবে। কারণ বিনিয়োগকারীরা বর্তমান পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের নিরাপত্তা পাচ্ছে না।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, ঈদের আগে দুই কার্যদিবস এবং ঈদের পর তিন কার্যদিবস মূল্যসূচকের উত্থান হয়েছে। অর্থাৎ টানা পাঁচ কার্যদিবস সূচক বেড়ে ডিএসইতে ৩০০ কোটি টাকার নিচে নেমে যাওয়া লেনদেন প্রায় ৫০০ কোটি টাকার কাছাকাছি চলে আসে।

তবে টানা পাঁচ কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর গতকাল হঠাৎ সূচকের দরপতনে ফের আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বিনিয়োগকারীরা। কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার বিক্রির চাপে সূচকের দরপতন হয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ২৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ২২০ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৪২ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৮৬৭ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৫ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯২ টির, দর কমেছে ২৫৫ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮ টির। ডিএসইতে ৪৭৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা কম। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৮৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকার ।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৭২৬ পয়েন্টে। সিএসইতে ২২১ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫১ টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৪৬ টির এবং ২৪ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ২১ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।