লেখাপড়ায় ছেলেরা কেন পিছিয়ে খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: লেখাপড়ায় ছেলেরা কেন পিছিয়ে যাচ্ছে তা খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত মাধ্যমিক থেকে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে তিনি এ নির্দেশ দেন। এ অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৪ এর সেরা মেধাবী পুরস্কার এবং ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ প্রদান করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি সত্যি খুব আনন্দিত আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি, এটা তারই একটি দৃষ্টান্ত। এইমাত্র যেটা উদ্বোধন করা হলো সেটা হলো স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি দেয়া। এটা সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে যার যার অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। নিজেরা সংগ্রহ করতে পারবেন। সেই পদ্ধতিটাই আমরা অনুসরণ করলাম। ডিজিটাল পদ্ধতিতে উদ্বোধন করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
তিনি বলেন, বিনামূল্যে বই বিতরণকে অনেকেই অসম্ভব কাজ বলেছিলেন, তবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেটা সম্ভব করেছে। ২০১০ সাল থেকে আমরা বিনামূল্যে বই বিতরণ করছি। এখন পর্যন্ত ৪৬৪ কোটির বেশি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার কোনো নীতিমালা থাকুক, এটা চায়নি বিএনপি। এক সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গুলি-বোমার শব্দ ও সেশনজট ছিল নিয়মিত বিষয়।
তিনি বলেন, বিএনপির আমলে স্বাক্ষরতার হার ৪৫ ভাগ। আমরা সেটিকে বর্তমানে ৭৬.৮ ভাগে উন্নীত করেছি। এ সময় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা খাতে বাজেট বাড়ানোয় তা সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সরকারপ্রধান বলেন, এই বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার বাংলাদেশ, এই বাংলাদেশ বদলে যাওয়ার বাংলাদেশ। আগামী দিনগুলোয় তরুণরাই বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করাই সরকারের লক্ষ্য।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড.কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান। উপবৃত্তির টাকা অভিভাবকের মোবাইল ফোনে বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ে পৌঁছে যাবে। মাধ্যমিক থেকে স্নাতক পাস পর্যায়ে ৬৪ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মেধাবী শিক্ষার্থী পাবেন এ টাকা। মোট ২ হাজার ২০৮ কোটি টাকা তাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।