বিনিয়োগকারীদের ভালো কিছু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি টেকনো ড্রাগসের
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে নতুন লেনদেনে আসা টেকনো ড্রাগসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ জালাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর আমরা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে পেরেছি, এটা আমাদের সফলতা। যা আমাদের ব্যবসায় প্রসারে সহযোগিতা করবে। বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে যে অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে তার সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা বিনিয়োগকারীদের ভালো কিছু দিতে পারবো।’
গত রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির (ডিএসই) সঙ্গে টেকনো ড্রাগস লিমিটেডের তালিকাভুক্তিকরণ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কোম্পানিটির এমডি এসব কথা বলেন। সোমবার ডিএসই থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রত্যাশার কথা জানানো হয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ডিএসই’র প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা খাইরুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ এবং টেকনো ড্রাগসের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ জালাল উদ্দিন আহমেদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যোর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র প্রকাশনা ও জনসংযোগ বিভাগের উপ মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান, সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও লিস্টিং অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের প্রধান মো. রবিউল ইসলাম, টেকনো ড্রাগসের চেয়ারম্যান খালেদা আক্তান খান ও অন্যান্য পরিচালকরা, ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটালের সিইও এ.বি.পারভেজ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ডিএসইর প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা খাইরুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ বলেন, টেকনো ড্রাগের আইপিওতে রেকর্ড পরিমাণ সাবস্ক্রিপশন হয়েছিল। যা ডিএসইর দায়িত্বকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ডিএসইতে লিস্টিংয়ের পোস্ট লিস্টিংয়ের কার্যক্রমগুলো ও কমপ্লায়েন্সের বিষয়গুলো তাদের সঠিকভাবে পালন করতে হবে। একই সাথে পরবর্তীতে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের আস্থার প্রতিদান দিতে পারবে বলে আশা করছি।
উল্লেখ্য, গত ২ জুলাই ২০২৪ স্টক এক্সচেঞ্জ ইলেক্ট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমের (ইএসএস) মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শততম ইস্যু হিসেবে টেকনো ড্রাগসের শেয়ার প্রো-রাটার ভিত্তিতে বরাদ্দ প্রদান করা হয়।
শততম ইস্যুর শেয়ার বরাদ্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু আইপিও এর আবেদনের ক্ষেত্রে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য মোট ১০০ কোটি টাকার বিপরীতে ২৪৮৭ কোটি ১৮ হাজার ১০৪ টাকার আবেদন জমা পড়ে, যা ২৪.৬৪ গুণ বেশি। প্রতি ১০ হাজার টাকা আবেদনের বিপরীতে নিবাসি বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীরা ১১টি শেয়ার এবং অনিবাসী বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীরা ২০টি শেয়ার বরাদ্দ পায়।