মনির হোসেন, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দরপতনের ধারা থেকে কিছুতেই বের হতে পারছে না দেশের পুঁজিবাজার। দিন যতই যাচ্ছে ততই খাদের মধ্যে তলিয়ে যাচ্ছে পুঁজিবাজার। এ যেন এক নি:স্ব হওয়ার সহজ রাস্তা। ফলে প্রতিদিনই পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে বিনিয়োগকারীদের মাঝে বাড়ছে হাহাকার।

বিনিয়োগকারীরা দিনের পর দিন নি:স্ব হলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও ডিএসই কোন ভুমিকা নিচ্ছেন না। কয়েকটি কোম্পানিকে কেন্দ্র করে সূচক ঠেক দিলেও অধিকাংশ শেয়ারের ক্রেতা সংকট। গত পাঁচ কার্যদিবসে অধিকাংশ বিনিয়োগকারীদের পুঁজি নতুন করে ১৫ শতাংশ উধাও হয়ে গেছে।

একাধিক বিনিয়োগকারীর সাথে আলাপকালে বলেন, বর্তমান নতুন বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারে আসছে না। সবার মাঝে পুঁজিবাজার নিয়ে অজানা আতঙ্ক। এখানে বিনিয়োগ করলেও পুঁজি হারিয়ে যায়। তাই আস্থা সংকট দুর করতে না পারলেও নতুন বিনিয়োগকারী আসবে না। তেমনি লেনদেনও বাড়বে না।

এ অবস্থায় সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের কিছুটা দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন কমেছে টাকার পরিমাণে লেনদেনও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৮৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২০১ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯৬১ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৭ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২১ টির, দর কমেছে ২২১ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৫ টির। ডিএসইতে ৫৬৪ কোটি ৪১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৯৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা কম। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৬২ কোটি ২৪ লাখ টাকার ।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৬১৭ পয়েন্টে। সিএসইতে ২৩৮ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৯ টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৪৯ টির এবং ৩০ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ২৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।