আস্থা ও তারল্য সংকটে হাহাকার পুঁজিবাজার, বাড়ছে ক্রেতা সংকট
শহীদুল ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এনিয়ে ঈদের পর টানা ৭ কার্যদিবসে সূচকের পতনে লেনদেন চলছে। এ অবস্থায় বাজার নিয়ে বিএসইসি ও ডিএসইর নিরব ভুমিকা পালন করছেন। অথচ দিন যতই যাচ্ছে বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পাল্লা ভারী হচ্ছে। ফলে আস্থা ও তারল্য সংকটে হাহাকার হয়ে পড়ছে পুঁজিবাজার।
এ অবস্থায় বাড়ছে ক্রেতা সংকট হিড়িক। এদিন কমেছে টাকার পরিমাণে লেনদেন ও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। মুলত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) লেনদেন কমে তিনশ কোটি টাকার ঘরে চলে এসেছে। এর মাধ্যমে ১৯ কার্যদিবস বা এক মাসের মধ্যে ডিএসইতে সর্বনিম্ন লেনদেনের ঘটনা ঘটলো। সেই সঙ্গে বাজারটিতে ৭৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
একাধিক বিনিয়োগকারীর সাথে আলাপকালে বলেন, এ ভাবে পুঁজিবাজার চলতে পারে না। দিনের পর দিন টানা দরপতন হলেও নীতি নির্ধারকরা কোন ভুমিকা নিচ্ছেন না। বিনিয়োগকারীদের পুঁজি শেষ হওয়ার পথে। লাখ লাখ বিনিয়োগকারী মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৪৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৯১ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯৫৩ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৫ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩৮ টির, দর কমেছে ৩১১ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৬ টির। ডিএসইতে ৩৭১ কোটি ৫২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১৯২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা কম। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৬৪ কোটি ৪১ লাখ টাকার ।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৫৬৬ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৯৪ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৫ টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৪২ টির এবং ১৭ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১০ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।