দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে দেশবাসীকেই রুখে দাঁড়াতে হবে। যারা মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন স্থাপনায় নাশকতা ও তাণ্ডব চালিয়েছে তাদের বিচার দেশের মানুষকেই করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার পর কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ এলাকা, কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশন পরিদর্শনের সময় তিনি এ কথা বলেন।

পরিদর্শনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী যারা মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন স্থাপনায় নাশকতা ও তাণ্ডব চালিয়েছে তাদের বিচার দেশের মানুষের ওপরেই ছেড়ে দিয়ে বলেন, যারা এমন ক্ষতি করেছে তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকেই রুখে দাঁড়াতে হবে। দেশের মানুষই এমন ক্ষতি করেছে তা নিজেও বিশ্বাস করতে পারছেন না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসীরা নাশকতা চালিয়েছে। সময়ের আগেই মেট্রোরেলের কাজ শেষ করা হয়েছে, যেন মানুষ যাতায়াতে স্বস্তি পায়। কিন্তু সেই মেট্রোরেলের ওপরে এত আক্রোশ কেন?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে স্থাপনাগুলো মানুষের জীবনকে সহজ করে, সেগুলো ধ্বংস করা আসলে কোন ধরনের মানসিকতা? ঢাকা শহর যানজটে নাকাল থাকলেও মেট্রোরেল স্বস্তি দিয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির এই পরিবহন এভাবে ধ্বংস করেছে তা মানতে পারছি না।

শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকার উন্নয়ন করছে। গত শুক্রবারে মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে হামলা হয়। ভাঙচুর করা হয় সিসি ক্যামেরা, এলইডি মনিটর, টিকিট কাটার মেশিনসহ বিভিন্ন জায়গায়। কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় দেশের এসব সম্পদ যারা ধ্বংস করেছে তাদের বিচার করতে হবে। তিনি বলেন, এই দেশ মানুষ রক্ত দিয়ে স্বাধীন করেছে সেটা ব্যর্থ হতে পারে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের উন্নয়ন যারা ধ্বংস করেছে তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকেই রুখে দাঁড়াতে হবে। এ তাণ্ডব যারা করেছে, তাদের বিচার দেশবাসীকে করতে হবে। কোটা আন্দোলনকারীদের যেমন দাবি ছিল তার থেকে বেশি পূরণ করা হয়েছে। তাহলে এখনো কীসের আন্দোলন? তাদের দাবি ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হয়েছে। যা ধ্বংসযজ্ঞকে সুযোগ করে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকার উন্নয়ন করছে। সাধারণ মানুষ যেন নির্বিঘ্নে কর্মক্ষেত্র পৌঁছতে পারে সেটা সুনিশ্চিত করা হবে। দেশ যেন আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে পারে সেই চেষ্টা করা হবে। এ দেশ মানুষ রক্ত দিয়ে স্বাধীন করেছে, সেটা ব্যর্থ হতে পারে না।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে হামলা হয়। ভাঙচুর করা হয় সিসি ক্যামেরা, এলইডি মনিটর, টিকিট কাটার মেশিনসহ বিভিন্ন জায়গায়। লুট হয় মূল্যবান অনেক জিনিস। এদিকে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে কমিটি করেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন চালু হতে কমপক্ষে এক বছর লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা। সহিংসতার ঘটনায় মিরপুর ও কাফরুল থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর মামলা করা হবে বলেও জানায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্তৃপক্ষ।