শহীদুল ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের বড় উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন লেনদেনের শুরুতে সূচকের দরপতন হলেও বেলা ১১ টার পর শেয়ার ক্রয়ের চাপে সূচকের উত্থান হয়েছে। তবে গত বুধবার বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ছিল একেবারেই নগণ্য। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সহিংসতার ঘটনায় কারফিউ জারির কারণে গত তিন কার্যদিবস পুঁজিবাজারে কোনো লেনদেন হয়নি।

কারফিউ শিথিল ও ব্যাংক চালুর ফলে বুধবার পুঁজিবাজারে তিন ঘণ্টার লেনদেন শুরু হয়েছে। তবে সহিংসতা-পরবর্তী প্রথম কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে সূচকের বড় দরপতনে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বিনিয়োগকারীরা। তবে এক কার্যদিবসের ব্যবধানে বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর ফলে বড় শঙ্কা থেকে প্রত্যাশার পথে পুঁজিবাজার। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশে এখনো পুরোদমে ইন্টারনেট সেবা চালু হয়নি। এ কারণে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের বড় অংশই লেনদেনে অংশ নিতে পারছেন না। তারপরও গত বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবারের লেনদেন বাড়াটা বাজারের জন্য ইতিবাচক বলে মনে করছেন তারা। তাছাড়া বর্তমান বাজার যে পর্যায়ে চলে আসছে তাতে অধিকাংশ শেয়ারে বিনিয়োগের উপযুক্ত সময় বলে মনে করেন তারা।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৬২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪১৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৮৩ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ২৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯৩২ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯২ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৮৬ টির, দর কমেছে ৬৬ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০ টির। ডিএসইতে ৪৯৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৩৩৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৫৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকার ।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৪১৫ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৮৭ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৯ টির দর বেড়েছে, কমেছে ৮৯ টির এবং ১৯ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।