ডিবিএইচ ফাইন্যান্সের মুনাফা কমার নেপথ্যে সুদ আয়
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসির চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) সুদ আয় বেড়েছে ২৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ। তবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মুনাফা কমেছে। কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) ডিবিএইচ ফাইন্যান্সের সুদ আয় হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৮৩ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৪১ কোটি টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে হয়েছিল ৪৯ কোটি টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটির নিট মুনাফা কমেছে ১৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৪৬ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ১৯ পয়সায়।
সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৯৫ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫ টাকা ১১ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ৬৩ পয়সায়।এর আগে ডিবিএইচ সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের জন্য মোট ১৭ শতাংশ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছিল। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ছিল।
২০০৮ সালে পুঁজিবাজারে আসা ডিবিএইচের অনুমোদিত মূলধন ৪০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১৯৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৬৬৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১৯ কোটি ৮৮ লাখ ৯০ হাজার ১৭১। এর মধ্যে ৫১ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ১৫ দশমিক ২৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।