শিগগিরই গভর্নর ও বিএসইসির চেয়ারম্যান নিয়োগ হবে: সালেহউদ্দিন আহমেদ
শহীদুল ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও বাংলাদেশ সিকিউরিটজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্র্বতী সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। আজ রোববার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
গভর্নর নিয়োগে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা-সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গভর্নর নিয়োগে আমরা ওপেনলি বলবো না। ইমিডিয়েটলি সিদ্ধান্ত নিব। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান নিয়োগের ক্ষেত্রেও ইমিডিয়েট পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে যান।
দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিদায়ী সরকারের সুবিধাভুগী শীর্ষ কর্মকর্তাদের পদত্যাগের জোরালো দাবি উঠে। বিশেষ করে যেসব কর্মকর্তা সরকারকে লুটতরাজে সহায়তা করেছে, তাদের নিয়োগ বাতিল করে বিচারের মুখোমুখী করার দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। প্রবল জনমতের চাপে বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা একে একে পদত্যাগ করতে থাকেন।
গত শুক্রবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদ থেকে পদত্যাগ করেন আব্দুর রউফ তালুকদার। এর আগে গত ৭ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারিরা গভর্নর, চার ডেপুটি গভর্নর, উপদেষ্টা ও আর্থিক গোয়েন্দা দপ্তরের প্রধানের পদত্যাগ দাবি করে মিছিল করেন। একপর্যায়ে তাঁরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল ভবনে অবস্থিত গভর্নরের ফ্লোরে ঢুকে পড়েন এবং একজন ডেপুটি গভর্নরকে সাদা কাগজে সই করতে বাধ্য করেন।
সেদিন ডেপুটি গভর্নর কাজী সাইদুর রহমান, উপদেষ্টা আবু ফারাহ মোহাম্মদ নাসের এবং বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে ব্যাংক থেকে বের হয়ে যান।
বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অভিযোগ, গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ও ডেপুটি গভর্নর কাজী সাইদুর রহমান বিতর্কিত এস আলম গ্রুপকে নামে-বেনামে ঋণের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা সরিয়ে নিতে সহায়তা করেছেন। আর বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাস টাকা পাচারের তথ্য জেনেও কোনো ব্যবস্থা নেননি।
অন্যদিকে গত শনিবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তার বিরুদ্ধে বাজারে চিহ্নিত কারসাজিকারীদের প্রশ্রয় দেওয়া, বেক্সিমকো গ্রুপসহ কয়েকটি গ্রুপকে নানা কৌশলে বাজার থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়াসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।