দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে পুঁজিবাজারের ধারাবাহিক সূচকের উত্থানে আস্থা ফিরছে বিনিয়োগকারীদের। বিনিয়োগকারীরা তাদের হারানো পুঁজি ফিরে পাওয়ার স্বপ্নে বিভোর। যার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে গত চার কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে লেনদেন ও মূল্য সূচক বাড়ার মাধ্যমেই। এদিন লেনদেনের ২১ মিনিটের মাথায় প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচক বেড়েছিল ২৯১ পয়েন্ট। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এরপর বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তোলার চাপ দেখা যায়। লেনদেনের এক পর্যায়ে সূচক নেতিবাচক প্রবণতায় টার্ন নেয়। দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ডিএসইর সূচক ৫৩ পয়েন্ট মাইনাস হয়ে লেনদেন হয়। তারপর আবার বিনিয়োগকারীদের বাই প্রেসার বেড়ে যাওয়ায় সূচক শেষবেলায় ডিএসইর সূচক ১১০ পয়েন্টের বেশি বেড়ে যায়। সবশেষে অ্যাডজাস্টমেন্টের কারণে উত্থান স্থির হয় ৯১ পয়েন্টে।

আজ ডিএসইর সূচক ৯১ পয়েন্ট বৃদ্ধির নেপথ্যে ছিল ১০ কোম্পানির শেয়ার। যেগুলো হলো: ইসলামী ব্যাংক, গ্রামীণফোন, ব্র্যাক ব্যাংক, বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকো, রবি, বিএসআরএম লিমিটেড, ইউসিবি ব্যাংক, আইএফআসি ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক। কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর বৃদ্ধির কারণে আজ ডিএসইর সূচকের উত্থান হয়েছে ৮৮ পয়েন্টের বেশি। অর্থাৎ আজ ডিএসইর সূচক বেড়েছে ৯১ পয়েন্ট। আর আলোচ্য ১০ কোম্পানি সূচক যোগ করেছে ৮৮ পয়েন্ট।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক ডিএসইর সূচক যোগ করেছে ১৮.৬১ পয়েন্ট, গ্রামীণফোন ১৭.৩০ পয়েন্ট, ব্র্যাক ব্যাংক ১১.৮৪ পয়েন্ট, বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকো ১১.৫৯ পয়েন্ট, রবি ৭ পয়েন্ট, বিএসআরএম লিমিটেড ৫.৯৬ পয়েন্ট, ইউসিবি ব্যাংক ৪.৯৭ পয়েন্ট, আইএফআসি ব্যাংক ৪.৮৮ পয়েন্ট, সিটি ব্যাংক ৪.৩১ পয়েন্ট ও ন্যাশনাল ব্যাংক ৩.২৮ পয়েন্ট।