শঙ্কার মধ্যেও নতুন করে আশা জাগাচ্ছে দেশের পুঁজিবাজার
শহীদুল ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন থেকে টানা চার কার্যদিবস পুঁজিবাজারে সূচকের রেকর্ড পরিমাণ উত্থান হলেও এরপর আবার টানা পতনের মুখে পড়েছে পুঁজিবাজার। উত্থান-পতনের এই খেলার মধ্যে শঙ্কা থাকলেও নতুন করে আশার সঞ্চার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। হাসিনা সরকারের পতনের পরদিনই পুঁজিবাজারে সুবাতাস বইতে শুরু করে।
টানা তিন কার্যদিবসে ৬৯৫ পয়েন্ট সূচক বেড়ে সপ্তাহ শেষ হওয়ার পর আবার ১১ আগস্ট একইভাবে সূচকের উত্থান ও লেনদেন বৃদ্ধির মাধ্যমে শেষ হয় লেনদেন। টানা সূচক ও লেনদেন বাড়তে থাকায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশার সঞ্চার সৃষ্টি হয়। এরইমধ্যে অনেক নিস্কিয় বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারে ফিরতে শুরু করছেন। অনেকে আবার নতুন করে বিনিয়োগ করতে শুরু করেন। ফলে গত সাত দিনে পৌনে ছয় হাজার নতুন বিনিয়োগকারী যুক্ত হয়েছেন। পাশাপাশি নিস্কিয় বিনিয়োগকারীদেরও অনেকে সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। ফলে গত সপ্তাহে তিন কার্যদিবসে প্রায় ছয় হাজার বিনিয়োগকারী বাজারে সক্রিয় হয়েছেন।
এদিকে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন ৫৩ শতাংশের বেশি বেড়েছে। পাশাপাশি এ সময় ডিএসইর মূলধন বেড়েছে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে সপ্তাহজুড়ে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ২৮২ কোটি ২২ লাখ টাকা। যা তার আগের সপ্তাহে হয়েছিল ৮৩৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৫৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ বা ৪৪৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
তথ্য অনুযায়ী, সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮ হাজার ৯৬৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৩ হাজার ৯১৩ কোটি ৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে দশমিক ৭২ শতাংশ বা ৫ হাজার ৫১ কোটি টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৬ হাজার ৪১১ কোটি ১২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৩৩৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে তিন হাজার ৭১ কোটি ২৬ লাখ টাকা। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২০ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট। তবে ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ৪৬ দশমিক ৬২ পয়েন্ট। আর ডিএসইএস সূচক কমেছে ১০ দশমিক ১৯ পয়েন্ট।
সপ্তাহজুড়ে মোট ৩৯৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৫টির, কমেছে ২৭৮টির এবং ১৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।