দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: শেখ হাসিনা সরকারের পতন পর থেকে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা নতুন স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন। পুঁজিবাজারে আবারও সুদিন ফিরে আসবে এই আশায় বুক বাধছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যানের নিয়োগ ইস্যুতে কিছুটা দোটানায় ছিলেন বিনিয়োগকারীরা। অবশেষে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নেতৃত্বের শূন্যতা পূরণ হওয়ায় বাজার নিয়ে আশাবাদী হয়ে উঠছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের কিছুটা কারেকশন হলেও লেনদেন নিয়ে আশাবাদী বিনিয়োগকারীরা।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে যোগদানে এম মাসরুর রিয়াজের অপরাগতা প্রকাশের পর বিএসইসির নেতৃত্বে শূন্যতা দেখা দেয়। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একধরনের শঙ্কা তৈরি হয়। তবে সাবেক ব্যাংকার খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় আবার নতুন করে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। যার ফলে বিনিয়োগকারীরা বাজারে সক্রিয় হওয়ায় লেনদেন বেড়েছে।

জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৭৭৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৪৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ১২১ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৬ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৯ টির, দর কমেছে ২৪৭ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০ টির। ডিএসইতে ৮০৭ কোটি ১৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৩২৬ কোটি ২৬ লাখ টাকা বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৮০ কোটি ৮৯ লাখ টাকার।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৬১৬ পয়েন্টে। সিএসইতে ২২২ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৫ টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৬০ টির এবং ১৭ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৮ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।