দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের বড় দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ নিয়ে টানা পাঁচ কর্মদিবস দরপতনে দেশের পুঁজিবাজার। টানা দরপতনের ফলে বাজারের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা। এদিকে গত মঙ্গলবার বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যানের যোগদানের পরও দরপতন থামছে না। ফলে সবার মাঝে একটাই প্রশ্ন বাজার টানা দরপতনের কারণ কী। এ দরপতনের পেছনে কোন রহস্য রয়েছে। তাছাড়া যে সব কোম্পানির শেয়ার বিক্রির ফলে দরপতন তরান্বিত হয় সেব কোম্পানির শেয়ার বিক্রির হিড়িক পড়েছে। এ অবস্থায়  সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ডিএসইর ১০ কোম্পানির শেয়ার বিক্রির চাপে সূচকের বড় দরপতন হয়েছে।
এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০৮ পয়েন্ট কমেছে। সূচকের বড় দরপতনে ১০ কোম্পানির শেয়ারের বড় অবদান ছিলো। কোম্পানিগুলো হলো: ইসলামী ব্যাংক, বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো, স্কয়ার ফার্মা, গ্রামীণফোন, ব্র্যাক ব্যাংক, রেনেটা, লাফার্জ হোলসিম, বেক্সিমকো ফার্মা, পূবালী ব্যাংক ও অলিম্পিক ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড। এই ১০ কোম্পানির শেয়ার দর কমাতে ডিএসইর সূচক কমেছে ৬০ পয়েন্টের বেশি।
ইসলামী ব্যাংক: আজ ইসলামী ব্যাংক বাজার পতনে সবচেয়ে বেশি ১১.৯৫ শতাংশ ভূমিকা রেখেছে। আজ ব্যাংকটির ১৬ লাখ ৫৯ হাজার ৪৩৬টি শেয়ার হাত বদল হয়েছে। ব্যাংকটির শেয়ার ৪১ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন শুরু হলেও ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৩৯ টাকা ১০ পয়সায়। আগের দিন ব্যাংকটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪১ টাকা ৮০ পয়সায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ২ টাকা ৭০ পয়সা বা ৬.৪৬ শতাংশ কমেছে।
বিএটিবিসি: বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানির (বিএটিবিসি) মাধ্যমে ৭.৫৭ পয়েন্ট কমেছে শেয়ারবাজারে। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয় ৪০৫ টাকা ৯০ পয়সায়। আগের কর্মদিবস এর ক্লোজিং দর ছিল ৪০৬ টাকা ৪০ পয়সায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৩৯৪ টাকা ৩০ টায়সায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১২ টাকা ১০ পয়সা বা ২.৯৮ শতাংশ কমেছে। আজ কোম্পানিটির ৩ লাখ ১১৩টি শেয়ার হাত বদল হয়েছে।
স্কয়ার ফার্মা: বাজার পতনে তৃতীয় সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখেছে স্কয়ার ফার্মা। এই কোম্পানিটির সূচক ৬.৬০ পয়েন্ট কমেছে। কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের কর্মদিবস ছিল ২৩০ টাকা। আজ লেনদেন শুরু হয় ২৩০ টাকায়। সবশেষ কোম্পানিটির লেনদেন হয়েছে ২২৭ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ২ টাকা ৭০ পয়সা বা ১.৭৯ শতাংশ কমেছে। আজ স্কয়ার ফার্মার ৩২ লাখ ৮৩ হাজার ৭১৭টি শেয়ার হাত বদল হয়েছে।
গ্রামীণফোন: বাজার পতনে চতুর্থ সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখেছে গ্রামীণফোন। এই কোম্পানিটির সূচক ৫.৯৪ পয়েন্ট কমেছে। কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের কর্মদিবস ছিল ৩৪৪ টাকা ৩০ পয়সা। আজ লেনদেন শুরু হয় ৩৪৪ টাকা ৩০ পয়সায়। সবশেষ কোম্পানিটির লেনদেন হয়েছে ৩৩৪ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯ টাকা ৭০ পয়সা বা ২.৯৯ শতাংশ কমেছে। আজ গ্রামীণফোনের ৩ লাখ ৪৪ হাজার ১৬১টি শেয়ার হাত বদল হয়েছে।
ব্র্যাক ব্যাংক: বাজার পতনে পঞ্চম সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখেছে ব্র্যাক ব্যাংক। এই কোম্পানিটির সূচক ৪.৮৮ পয়েন্ট কমেছে। কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের কর্মদিবস ছিল ৫২ টাকা ৪০ পয়সা। আজ লেনদেন শুরু হয় ৫২ টাকা ৫০ পয়সায়। সবশেষ কোম্পানিটির লেনদেন হয়েছে ৫১ টাকা ২০ পয়সা। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১ টাকা ২০ পয়সা বা ২.২৯ শতাংশ কমেছে। আজ ব্র্যাক ব্যাংকের ৭৮ লাখ ৯৫ হাজার ৬৭টি শেয়ার হাত বদল হয়েছে।
রেনেটা: বাজার পতনে রেনেটারও ভূমিকা রয়েছে। এই কোম্পানির মাধ্যমে ৩.৪১ পয়েন্ট সূচক কমেছে। আগের দিন রেনেটার শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৭৫৪ টাকা ৮০ পয়সা। আজ কোম্পানির লেনদেন শুরু হয় ৭৫০ টাকায়। আর আজ কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৭৪০ টাকা ৫০ পয়সায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৪ টাকা ৩০ পয়সা বা ১.৮৯ শতাংশ কমেছে।