দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেছেন, পুঁজিবাজার পুরোপুরি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার করা হবে। তাই যে কোন মূল্যে বিনিয়োগকারীদের আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে চাই। আজ রোববার সকালে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) সঙ্গে সৌজন্য বৈঠকে বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যানের খন্দকার রাশেদ মাকসুদ এ কথা বলেন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, পুঁজিবাজারে যারা অনিয়ম করেছে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি অনিয়মের সঙ্গে বিএসইসির কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও শাস্তি পেতে হবে। পুঁজিবাজারে পুরোপুরি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার জন্য আগামী চার বছর কাজ করবো। এজন্য ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজিএফ) সহযোগিতাও চান তিনি। আমরা প্রথমে নিজেদের ঘর থেকেই এ কাজটা শুরু করবো। পর্যায়ক্রমে স্টক একচেঞ্জ এবং মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান সিকিউরিটিজ কোম্পানি, ব্রোকার ডিলার, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ সব প্রতিষ্ঠানে সুশাসন প্রয়োগ এবং এর যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে কি-না তা খতিয়ে দেখবো।

খন্দকার রাশেদ বলেন, পুঁজিবাজারে গত ১৪ বছরে অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। এগুলো কে করলো, কারা করলো, কীভাবে করলো তা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেটাও নিজেদের ঘর থেকে (বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারী) সবার আগে করতে চাই। এরপরে অন্যসব জায়গার দোষীদের ধরা হবে। এসব অনিয়মের কারণ তুলে ধরতে তদন্তের কাজে স্বতন্ত্র দল (ইন্ডিপেন্ডেন্ট বডি) গঠন করা প্রয়োজন। আমরা শিগগিরই এ কাজটা করবো।

সদ্য নিযুক্ত এ চেয়ারম্যান আরও বলেন, পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে আমাদেরকে ফোকাস করতে হবে। তবে সেটা সাময়িক সময়ের জন্য কৃত্রিমভাবে নয় বরং মৌলিক উপায়েএ কাজটা করতে চাই।
বাজারের দরবৃদ্ধি ও দরপতনের সীমা আলাদা করা বিষয়টি বৈষম্য কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার ড. এটিএম তারিকুজ্জামান বলেন, সার্কিট ব্রেকার উভয় পাশে সমান হওয়া উচিত। দরবৃদ্ধি ও দরপতনের সীমা আলাদা হলে বাজার বৈষম্য সৃষ্টি হয়। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করবো।

মিউচুয়াল ফান্ড নিয়ে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিউচুয়াল ফান্ড পূর্বে অনিয়ম হয়েছে। আইনেও কিছুটা বৈষম্য ছিল। এ খাতের আইন কতটা বাজারের সাথে সামঞ্জস্যতাপূর্ণ (মার্কেট ফ্রেন্ডলি), ইনভেস্টর ফ্রেন্ডলি তা আমরা পর্যালোচনা করবো। পাশাপাশি এ খাতে সুশাসনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা হবে। বৈঠকে সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানী ও সাধারণ সম্পাদক আবু আলীসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় বিএসইসির চেয়ারম্যান ছাড়াও কমিশনার মোহসীন চৌধুরী এবং ড. এটিএম তারিকুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।