দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: আস্থা ও তারল্য সংকটে ভয়াবহ দরপতন চলছে দেশের পুঁজিবাজারে। ফলে প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ করা পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। এ অবস্থায় পুঁজি নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা। ফলে এতে বেড়েই চলেছে বিনিয়োগকারীদের হাহাকার। মুলত শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পুঁজিবাজারে সাময়িক উল্লম্ফন দেখা গেলেও এখন ফের টানা দরপতনে পুঁজিবাজার।

তবে শেখ হাসিনা সরকারের আমলেও পুঁজিবাজার পতনের মধ্যে নিমজ্জিত ছিল। কিন্তু নতুন নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান নিয়োগের বিনিয়োগকারীরা আশায় ছিলো বাজার ভাল হবে। তবে বাজার ভাল হওয়ার মত কিছুই দেখছেন না বিনিয়োগকারীরা। ফলে বিনিয়োগকারীদের মাঝে প্রশ্ন দরপতন ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার উদ্যোগ কী।

মুলত ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পড়ে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে দেশ ছেড়ে চলে যান ভারতে। হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রথম চার কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক প্রায় ৮০০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে নতুন অর্ন্তর্বতী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পুঁজিবাজারে টানা দরপতন দেখা যাচ্ছে। এদিকে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে প্রথম কার্যদিবসে দিনভর সূচকের উঠানামা করলেও দিনশেষে নামমাত্রা সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন কমেছে টাকার পরিমাণে লেনদেনও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে .৬৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৭০০ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ২২০ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২ পয়েন্ট করম অবস্থান করছে ২ হাজার ৮৮ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৮ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৪ টির, দর কমেছে ২৪০ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪ টির। ডিএসইতে ৫৫৮ কোটি ৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ২২০ কোটি ৫২ লাখ টাকা কম। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭৭৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকার ।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৩৭৫ পয়েন্টে। সিএসইতে ২০১ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৪ টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৩১ টির এবং ১৬ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ২৯ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেছেন, পুঁজিবাজার পুরোপুরি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার করা হবে। তাই যে কোন মূল্যে বিনিয়োগকারীদের আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে চাই। এছাড়া পুঁজিবাজারে যারা অনিয়ম করেছে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি অনিয়মের সঙ্গে বিএসইসির কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও শাস্তি পেতে হবে।