দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের উত্থানে মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৭.৭০ পয়েন্ট বেড়েছে। তবে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের সব্বোর্চ আগ্রহ দেখা গেছে। মুলত এসব শেয়ার টানা দরপতন হয়েছে। ফলে হঠাৎ করে আগ্রহ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের।

কোম্পানিগুলো হলোঃ ফরচুন সুজ, তুংহাই নিটিং, দেশ বন্ধু পলিমার, খান ব্রাদার্স, এডিএন টেলিমক, আইসিবি, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, সাফকো স্পিনিং, খুলনা পেপার অ্যান্ড প্রিন্টিং, রিংশাইন, ওরিয়ন ইনফিউশ এবং এপোলো ইস্পাত লিমিটেড। আগেরদিন ফরচুন সুজের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৬ টাকা আজ শেয়ারটির ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ২৮ টাকা ৬০ পয়সা। এই শেয়ারটির দর আজ ২ টাকা ৬০ পয়সা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে। এই শেয়ার ক্রয়ে বিনিয়োগকারী থাকলেও বিক্রি করার মতো বিনিয়োগকারী ছিল না।

তুংহাই নিটিংয়ের শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ৪ টাকা। আজ লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৪ টাকা ৪০ পয়সায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪০ পয়সা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে। শেয়ারটি লেনদেন শুরু কিছুক্ষণের মধ্যেই বিক্রেতা উধাও হয়ে যায়। এর পর শেয়ারটি ক্রয় করার জন্য অনেক বিনিয়োগকারী বাই অর্ডার দিয়ে রাখে। তবে কেউেই বিক্রি করতে আগ্রহী ছিল না। দেশবন্ধু এবং খান ব্রাদার্সের শেয়ারেও এই অবস্থা দেখা যায়। কোম্পানি দুইটির শেয়ার লেনদেন শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই বিক্রেতা সংকটে পরে। দুই কোম্পানির শেয়ারই দিন শেষে ৯.৯২ শতাংশ বেড়েছে।

এছাড়া এডিএন টেলিকমের ৯.৮৯ শতাংশ, আইসিবির ৯.৮৯ শতাংশ, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ৯.৮৭ শতাংশ, লিগ্যাসি ফুটওয়ারের ৯.৮৫ শতাংশ, সাফকো স্পিনিংয়ের ৯.৪৮ শতাংশ, খুলনা পেপার অ্যান্ড প্রিন্টিংয়ের ৯.৩০ শতাংশ, রিংশাইনের ৯.০৯ শতাংশ, ওরিয়ন ইনফিউশনের ৮.৭৩ শতাংশ এবং এপোলো ইস্পাতের শেয়ার দর ৮.৭০ শতাংশ বেড়েছে। এই সব শেয়ারেও আজ বিক্রেতা সংকট ছিল। কোম্পানিগুলো শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের চাহিদা বেড়ে যায়। যার কারণে পর্যাপ্ত ক্রেতা থাকলেও কেউ শেয়ারটি বিক্রি করতে আগ্রহী ছিল না।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজাওে আস্থা ফিরতে শুরু করেছে। বিগত ১৫ বছরে মানুষ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে সাহস পায়নি। বিনিয়োগকারীরা এখন নির্ভয়ে বিনিয়োগ করতে পারছেন। যার কারণে কোম্পানিগুলোতে সাধারণ বিনিয়োগকারীর পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিকরাও বিনিয়োগে এগিয়ে আসছে। এতে করেই কিছু কিছু কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহটা একটু বেশিই দেখা যাচ্ছে।