পুঁজিবাজারের ১৫ বছরের কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে ডিবিএ’র চিঠি
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আওয়ামীলীগের সরকারের শুরু ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরের কার্যক্রমের উপর তদন্ত চেয়ে অর্থ উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়েছে ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন (ডিবিএ)। ডিবিএ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। চিঠিতে ঢাকা স্টক একচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন, ২০১৩ ও ঢাকা স্টক একচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিম-এর পুনঃমূল্যায়নসহ ডিএসই’র পর্ষদ পরিচালক নিয়োগে সমতা চাওয়া হয়েছে।
ডিবিএর চিঠিতে বলা হয়েছে, স্টক একচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন, ২০১৩ ও ঢাকা স্টক একচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিম-এর অধীনে ডিএসই পর্ষদে ৭ (সাত) জন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের বিধান রয়েছে। উক্ত ৭ জন স্বতন্ত্র পরিচালকের মধ্য থেকে পর্ষদ চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়।
অপরদিকে ডিএসই’র ২৫০ (দুইশত পঞ্চাশ) জন শেয়ারহোল্ডারদের প্রত্যক্ষ ভোটে ৪ (চার) জন শেয়ারহোল্ডার নির্বাচিত হয়ে পরিচালক হিসেবে পর্ষদে আসে। চেয়ারম্যানসহ ৭ (সাত) জন স্বতন্ত্র পরিচালকের সংখ্যাগরিষ্টতার ফলে ডিএসইসহ পুঁজিবাজারের যে কোন সিদ্ধান্তে তাদের একক আধিপত্য ও প্রভাব থাকে। স্বতন্ত্র পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডার পরিচালকদের মধ্যে এমন সংখ্যাগত বৈষম্যের ফলে ডিএসইর কর্মকান্ড ও সিদ্ধান্তে ভিন্নতা ও বৈষম্য তৈরী হয়ে ২০১৩ সাল থেকে আজ ডিএসই একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে।
ডিএসইকে স্বাধীন, শক্তিশালী ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে এবং শেয়ারবাজারের উন্নয়নে ডিএসইর ভূমিকা জোরদার করতে অর্থ উপদেষ্টার নিকট কতিপয় সুপারিশ করেছে ডিবিএ। যেগুলো হলো:
১. বিদ্যমান ঢাকা স্টক একচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন, ২০১৩ ও ঢাকা স্টক একচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিম-এর পুনঃমূল্যায়ন করা।
২. ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সদস্যদের মধ্যে সমতা তৈরী করে সেক্ষেত্রে ৬ (ছয়) জন স্বতন্ত্র পরিচালক ও ৬ (ছয়) জন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক নিয়োগের বিধান রাখা এবং শেয়ারহোল্ডার পরিচালকদের মধ্য থেকে ‘চেয়ারম্যান’ নিয়োগ করা।
৩. বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীর আস্থা ফিরিয়ে আনতে গত ১৫ বছর (২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত) পুঁচিবাজারের সামগ্রিক কার্যক্রমের উপর তদন্ত কমিটি গঠন করা।