দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের দরপতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে দিনভর সূচকের উত্থানের চেষ্টা করলেও দিনশেষে ৭ কোম্পানির শেয়ার বিক্রির চাপে সূচকের দরপতন হয়েছে। তবে সূচকের দরপতন হলেও বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন। তবে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তাছাড়া গত তিন কার্যদিবস সূচকের কিছুটা উত্থান ও কয়েকটি কোম্পানির তদন্তের খবরে বাজার কিছুটা দরপতন হয়েছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। আর দরপতনের পেছনে শীর্ষ সাত কোম্পানির শেয়ার বিক্রির চাপকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত তিন কার্যদিবস ডিএসইর সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছিল। এসময় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ১৪৪ পয়েন্ট। এতে যারা মুনাফায় ছিলেন, তারা আজ প্রফিট টেকিং করেছেন। এছাড়া ১২ কোম্পানির তদন্তের খবরে শেয়ার বিক্রির চাপে সূচকের দরপতন হয়েছে। তবে দরপতন হলেও বাজার নিয়ে ভয়ের কিছু নেই বলে অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীরা মনে করেন।

অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারী কাজী হোসাইন আলী বলেন, সার্বিক দিন বিশ্লেষণে করলে বাজার স্বাভাবিক গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। গত তিন কার্যদিবস সূচকের উত্থানের ফলে আজ কিছুটা কারেকশন হয়েছে। তবে ভয়ের কিছু নেই বলে তিনি মনে করেন। তাছাড়া সূচকের স্বাভাবিক সংশোধন হয়েছে। যা একেবারেই অস্থায়ী। সংশোধনের এই প্রবণতা দুই-এক দিনের মধ্যেই কেটে যাবে তিনি করেন।

জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ২৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৮০৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৩৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ১৩৪ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৭ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮০ টির, দর কমেছে ২৯১ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬ টির। ডিএসইতে ১ হাজার ৬৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১৩১ কোটি ৯১ লাখ টাকা বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৯৩৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকার।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫৯২ পয়েন্টে। সিএসইতে ২৫৯ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৯ টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৫৬ টির এবং ২৪টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১৬ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।