বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে স্থিতিশীল পুঁজিবাজারের দাবী, লেনদেনে ভাটা
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দরপতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না দেশের পুঁজিবাজার। মাঝে মধ্যে পুঁজিবাজারে সূচকের কিছুটা ঊর্ধ্বমুখিতার প্রবণতা দেখা মিললেও পরক্ষণেই আবার দরপতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হচ্ছে। ফলে বাজার আজ ভাল তো কাল খারাপ। এ অবস্থায় মধ্যে গত আড়াই বছরের বেশি সময় পার করছে। ফলে বাজার নিয়ে অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে বিনিয়োগকারীদের মাঝে। তবে শেখ হাসিনা সরকারের পতন পর থেকে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করছিলেন।
পুঁজিবাজারে আবারও সুদিন ফিরে আসবে এই আশায় বুক বাধছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তবে বার বার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেও ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না পুঁজিবাজার। ফলে বাজার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মাঝে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে এবার নতুন করে তদন্তের খবরে বাজারে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন একাধিক বিনিয়োগকারীরা। তাই স্থিতিশীল পুঁজিবাজারের দাবী জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। কারণ এর আগেও কয়েকবার বাজার বড় উত্থানের আভাস দিলেও টেকসই হয়নি। এবার যেন পুঁজিবাজার স্থিতিশীল থাকে সেই প্রত্যাশা বিনিয়োগকারীদের।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘদিনের দাবি একটি স্থিতিশীল পুঁজিবাজার। তবে গত ১৫ বছর বিনিয়োগকারীরা একটি স্থিতিশীল পুঁজিবাজার পায়নি। তাই বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে স্থিতিশীল পুঁজিবাজার এখন সময়ের দাবী। তারা আরো বলেন, গত তিন কার্যদিবস সূচকের উত্থানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ১৪৪ পয়েন্ট। এর বিপরীতে গত দুই কার্যদিবসে সূচক কমেছে ৪৩ পয়েন্ট। ফলে বাজার নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে তারা মনে করেন।
এদিকে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের দরপতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে কমেছে ডিএসইর প্রধান সূচক। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৭৮৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৩৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ১৩৩ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৭ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০২ টির, দর কমেছে ২৫৮ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮ টির। ডিএসইতে ৭২৬ কোটি ৫০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৩৩৯ কোটি ৪ লাখ টাকা কম। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৬৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকার।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫০১ পয়েন্টে। সিএসইতে ২২৪ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৮ টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৫১ টির এবং ১৫টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৩১ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।