ব্যাংক খাতের উন্নয়নে ৩টি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দেশের ব্যাংক খাতের পরিস্থিতি উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশীয়-আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ৩টি টাস্কফোর্স গঠন করবে বলে জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)-এর চেয়ারম্যান সেলিম আরএফ হোসেন।
তিনি বলেন, ব্যাংক খাতের পরিস্থিতি উন্নয়নে নন-পারফর্মিং লোন (এনপিএল) ব্যবস্থাপনা, বাংলাদেশ ব্যাংকের স্ট্রেংদেনিং প্রজেক্ট ও লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক ইস্যুতে ৩টি আলাদা টাস্কফোর্স গঠন করা হবে বলে আমাদের জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা অংশ নেন। তবে এসব টাস্কফোর্স গঠনে কেমন সময় লাগবে, তা এখনো ঠিক করা হয়নি জানিয়ে সেলিম বলেন, এসব টাস্কফোর্সে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিশেষজ্ঞদের রাখা হবে। ‘এ টাস্কফোর্স হবে আন্তর্জাতিক মানের। বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকেও বিশেষজ্ঞ আসতে পারে,’ বলেন তিনি।
সেলিম আরএফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর উদার সুদহার রেজিমে বিশ্বাস করেন। ‘উনি ইন্টারেস্ট রেট ফ্রি ফ্লোট করে দিয়েছেন। লেন্ডিং রেটে অলিখিত কিছু ক্যাপ ছিল, তিনি সেটিও তুলে দিয়েছেন। ব্যাংকারদের নির্দেশনা দিয়েছেন, অস্বাভাবিক কোনো লেন্ডিং রেটে যেন তারা না যান।’
‘বিনিময় হার এখন ১২০ টাকার মধ্যে রয়েছে। আমরা এ রেটেই ব্যবসা পরিচালনা করব। খোলা বাজারে ডলারের দাম ১২১–১২২ টাকায় রয়েছে। ডলার মার্কেটে এখন স্থিতিশীলতা এসেছে। এ মাসে আমরা আড়াই বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্স পাব বলে আশা করছি,’ বলেন তিনি।
ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম বলেন, ‘এলসি ওপেনিং ধীরগতির হয়েছে, এটা অনেকটা ভোগের ওপর নির্ভর করে। চাহিদাও অনেক কমে গেছে। বাজারে এখন ডলারের কোনো অভাব নেই। যার যখন প্রয়োজন এলসি খুলতে পারছেন।
‘আমাদের একটা চ্যালেঞ্জ সরকারি ৪টি ব্যাংকে দেড় থেকে দুই বিলিয়ন ডলারের পেমেন্ট আটকে আছে। আমরা আশা করছি, আগামী ছয়মাসের মধ্যে এসব পেমেন্ট সম্পন্ন হবে। তাতে বাজারে যে চাপটা এখন আছে, তার সমাধান হয়ে যাবে।’ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত পলিসি রেট বাড়তে থাকবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আগামী ১–২ মাসের মধ্যে পলিসি রেট ১০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া হবে। এটা একটা স্ট্যান্ডার্ড প্রক্রিয়া।’