ডিএসইর সূচকের উত্থানের সব্বোর্চ চেষ্টায় ৬ কোম্পানি
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে সূচকের পতন হলেও সূচকের উত্থানের সব্বোর্চ চেষ্টায় ছিলো ৬ কোম্পানি। তবে ৬ কোম্পানির শেয়ারে সূচকের উত্থানের চেষ্টা না করলে সূচকের বড় দরপতন হতো। কোম্পানিগুলো হলো: লিন্ডে বিডি, অলিম্পিক, বেক্সিমকো ফার্মা, রূপালী ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক এবং ব্র্যাক ব্যাংক।
লিন্ডে বিডি: আজ লিনডে বিডির মাধ্যমে ডিএসইর সূচক ৬.০৭ পয়েন্ট বেড়েছে। এদিন লিনডে বিডির শেয়ার লেনদেন শুরু হয় ১ হাজার ৫৫০ টাকায়। আগের দিন কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১ হাজার ৩১৩ টাকা ২০ পয়সায়। আজ লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর হয় ১ হাজার ৫৪৭ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ২৩৪ টাকা ১০ পয়সা। শেয়ারবাজারকে ইতিবাচক প্রবণতায় ধরে রাখতে লিনডেবিডি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নেতিবাচকতায় শেষ হয় শেয়ারবাজারের লেনদেন।
অলিম্পিক: শেয়ারবাজারকে উত্থান প্রবণতায় ধরে রাখতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালায় অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ। আজ অলিম্পিকের মাধ্যমে সূচক ৪.৮৬ পয়েন্ট বেড়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নেতিবাচক থাকে শেয়ারবাজার। অলিম্পিকের শেয়ারের ক্লোজিং দর গতকাল ছিল ১৯৭ টাকা ৫০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয় ১৯৭ টাকা ৭০ পয়সা। শেষ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার দর হয় ২০৮ টাকা ২০ পয়সায়। অর্থাৎ আজ অলিম্পিকের শেযার দর ১০ টাকা ৭০ পয়সায়।
বেক্সিমকো ফার্মা: এদিন বেক্সিমকো ফার্মাও শেয়ারবাজারকে পতনের হাত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছে। কোম্পানিটি তৃতীয় সর্বোচ্চ চেষ্টা করে শেয়ারবাজারকে ইতিবাচকতায় রাখতে। আজ এই কোম্পানির মাধ্যমে সূচক ৪.২৫ পয়েন্ট বেড়েছে। আগের দিন কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৭৩ টাকা ৩০ পয়সায়।
আজ লেনদেন শেষে এই শেয়ারের ক্লোজিং দর হয় ৭৬ টাকা ৫০ পয়সায়। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ার দর এদিন ৩ টাকা ২০ পয়সায় বেড়েছে। শেয়ারবাজারকে ইতিবাচক প্রবণতায় ফেরাতে অন্য যেসব কোম্পানির মধ্যে রূপালী ব্যাংকের ২.৭০ পয়েন্ট, আইএফআইসির ২.৩১ পয়েন্ট এবং ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে সূচক ১.২২ পয়েন্ট বেড়েছে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলেন, বাজারে এগিয়ে নিতে এদিন বেশ কিছু কোম্পানি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত কোম্পানিগুলোর চেষ্টা বাজারকে ধরে রাখতে পারেনি। তবে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর বা সূচক বাড়ার কারণে বড় পতন হয়নি পুঁজিবাজারে। কোনো কারণে নেতিবাচক প্রবণতার চলতে থাকলে বাজারকে ইতিচাকতায় ফেরাতে সবার এগিয়ে আসা একান্ত প্রয়োজন।