কনফিডেন্স সিমেন্টের মুনাফায় চমক থাকলেও লভ্যাংশ ইস্যুতে তামাশা!
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের কোম্পানি কনফিডেন্স সিমেন্ট ৩০ জুন, ২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৮ টাকা ৭৩ পয়সা। তবে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ আলোচ্য অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।
অর্থাৎ কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৮ টাকা ৭৩ পয়সা। বিপরীতে বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ১ টাকা বা ১২ শতাংশ। আগের বছর কোম্পানিটি মুনাফা করেছিল ৩ টাকা ১৫ পয়সা। আর ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ৫ শতাংশ ক্যাশ ৫ শতাংশ বোনাস। অর্থাৎ আগের বছর মুনাফার প্রায় ৩২ শতাংশ বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। বিনিয়োগকারীরা প্রশ্ন করে বলেন, কোম্পানিটি মুনাফা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সাথে তামশা করেছে। কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের টাকায় ব্যবসা করলেও বিনিয়োগকারীদের সাথে প্রতারণা করছে।
মনির হোসেন নামের এক বিনিয়োগকারী বলেন, কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ আগের বছরও বিনিয়োগকারীদের ঠকিয়েছে। আর এই বছর বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে রীতিমতো তামাশা করেছে। তিনি বলেন, কোম্পানিটি এতো বড় মুনাফা করে বিনিয়োগকারীদের এতো কম ডিভিডেন্ড দিতে পারে না। এটা বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সরাসরি প্রতারণার সামিল।
তিনি বলেন, তিনি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছে কোম্পানিটির এই স্বেচ্চাচারিতার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করবেন। যাতে কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড পুর্নবিবেচনা করার নির্দেশ দেন। যদি বিএসইসি কোম্পানিটির এই স্বেচ্চাচারিতার বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে তিনি আদালতে যাবেন। কোম্পানিটির এই স্বেচ্চাচারিতা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সাধারণত তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে মুনাফার ৭০ শতাংশ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরণ করার জন্য বিএসইসি থেকে উৎসাহ দেওয়া হয়। তবে মুনাফার ৫০ শতাংশের নিচে যাতে ডিভিডেন্ড দেওয়া না হয়, সেজন্য অনুশাসনও জারি করা হয়েছে।
কিন্তু কনফিডেন্স সিমেন্ট কোন নিয়মই প্রতিপালন করছে না। বিষয়টি বিএসইসির শক্তহাতে খতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। কারণ তালিকাভুক্ত কোম্পানি নিজেদের খেয়াল খুশিমতো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারে না।