ওষুধ-রসায়ন ও বস্ত্র খাতের শেয়ারে ভর করে সূচকের কিছুটা উত্থান
শহীদুল ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: এক কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর দেশের পুঁজিবাজারে আবারও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। তবে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) দিনভর সূচকের উঠানামা করলেও দিনশেষে সূচকের সামান্য উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে সূচক কিছুটা বাড়লেও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দরপতন হয়েছে।
ফলে বাজার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মাঝে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করেছে। এছাড়া বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে আস্থাহীনতায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সাইডলাইনে রয়েছে। তবে ওষুধ-রসায়ন এবং ব্যাংক ও বস্ত্র খাতের কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারে ভর করে সূচকের উত্থান হয়েছে। সূচকের পাশাপাশি আগের কার্যদিবসের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে।
একাধিক বিনিয়োগকারীরা বলেন, বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে বিনিয়োগকারীরা দোটানায় রয়েছেন। বিনিয়োগকারীরা নতুন করে বিনিয়োগ করতে সাহস পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার বাজার ইস্যুতে আস্থা দিয়ে বিনিয়োগকারীদের বাজারমুখী করতে হবে। তা না হলে বাজারের ভারসাম্য ধরে রাখা কঠিন বলে মনে করছেন তারা।
অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারী কাজী হোসাইন আলী বলেন, পুঁজিবাজারকে চাঙা রাখতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার বাস্তবমুখী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ গত এক মাস ধরেও বাজার মন্ধাভাব বিরাজ করছে। এ অবস্থায় প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরা সাইডলাইনে রয়েছেন। তাদেরকে যেকোন মুল্যে বাজারমুখী করতে হবে। তা না হলে বাজার স্থিতিশীল রাখা কঠিন।
জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৭১৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৪০ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ১০৭ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৭ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৩ টির, দর কমেছে ১৭২ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২ টির। ডিএসইতে ৬২৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৬২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৬২ কোটি ৭২ লাখ টাকার ।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ১৬১ পয়েন্টে। সিএসইতে ২৩৯টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৪ টির দর বেড়েছে, কমেছে ৯০ টির এবং ৩৫ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৫ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।