দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: শিবলী কমিশনের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে গত আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে পুঁজিবাজারে চলছে ধারাবাহিক দরপতন। চলতি বছরের শুরুতে দরপতন পরিস্থিতি আরও ঘনীভূত হয়। অব্যাহত দরপতনের কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অস্থিরতা ও আতঙ্ক বিরাজ করতে দেখা গেছে। এই সময়ে ফোর্স সেল ও লোকসানের কারণে সর্বশান্ত হয়ে বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজার ছেড়েছেন।

সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্য অনুযায়ি, চলতি বছরের ০১ জানুয়ারি থেকে গত ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেয়ারধারী বেনিফিশিয়ারী ওনার্স (বিও) হিসাব কমেছে ১ লাখ ১২ হাজার ১১৯টি। অন্যদিকে কোনো শেয়ার না থাকা বিও হিসাবের সংখ্যা বেড়েছে ১৭ হাজার ৪৭৪টি।

সিডিবিএল জানিয়েছে, চলতি বছরের ০১ জানুয়ারি শেয়ারধারী বিও হিসাব সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ ৪ হাজার ২৮৯। সর্বশেষ ১২ সেপ্টেম্বর তা কমে দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৯২ হাজার ১৭০টিতে। অন্যদিকে ০১ জানুয়ারি শেয়ার না থাকা বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৯৬ হাজার ৯০১। ১২ সেপ্টেম্বর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৩৭৫টিতে।

সিডিবিএলের তথ্যমতে, ০১ জানুয়ারি মোট বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫৫১। ১২ সেপ্টেম্বর তা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৭০ হাজার ৬৭৪টিতে। ০১ জানুয়ারি পুরুষ বিও হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ২৬ হাজার ৯৫৩, যা ১২ সেপ্টেম্বর ১২ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৭টিতে দাঁড়িয়েছে। এতে দেখা যায়, প্রায় সাড়ে নয় মাসে পুরুষ বিও হিসাবধারীর সংখ্যা কমেছে ৭৫ হাজার ২৬৬টি। অন্যদিকে নারী বিও হিসাবধারীর সংখ্যা কমেছে ১ হাজার ৬৫৬টি। ০১ জানুয়ারি শেষে পুঁজিবাজারে নারী বিও হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ২৯ হাজার ৪৮৭, যা ১২ সেপ্টেম্বর শেষে ৪ লাখ ২৭ হাজার ৭৫১টিতে দাঁড়িয়েছে।

গত ১২ সেপ্টেম্বর ব্যক্তিগত বিও হিসাবধারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৮৮ হাজার ৮১১ টিতে, যা ০১ জানুয়ারি ছিল ১২ লাখ ৪২ হাজার ৯৫৮টি। আলোচ্য সময়ের ব্যবধানে ব্যক্তিগত বিও হিসাব কমেছে ৫৪ হাজার ১৪৭টি। ১২ সেপ্টেম্বর যৌথ বিও হিসাব দাঁড়ায় ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৬১২টিতে, যা ০১ জানুয়ারি ছিল ৫ লাখ ১৩ হাজার ৪৮২টি।

সিডিবিএলের তথ্য বলছে, গত ১২ সেপ্টেম্বর দেশী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৬ হাজার ৪৫০ টিতে, ০১ জানুয়ারি যা ছিল ১৭ লাখ ১ হাজার ১৫৫ জন। এ হিসাবে দেশী বিনিয়োগকারী কমেছে ৯৪ হাজার ৭০৫ জন। একই সময়ে বিদেশী বিনিয়োগকারী কমেছে ৮ হাজার ৩১২ জন। ১২ সেপ্টেম্বর বিদেশী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ৯৭৩ টিতে, ০১ জানুয়ারি যা ছিল ৫৫ হাজার ২৮৫ জন।