মনির হোসেন, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: টানা দরপতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না দেশের পুঁজিবাজার। বরং আজ ভাল তো কাল খারাপ। ফলে প্রতিদিনই লোকসানের পাল্লা ভারী হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের। কিন্তু টানা দরপতন হলেও বাজার ইস্যুতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কোন চমকপদ সিদ্ধান্ত চোখে পড়ছে না। বরং বাজার স্থিতিশীল না করে একের পর ভুল সিদ্ধান্ত ও তদন্ত কমিটিতে নাজেহাল হয়ে পড়ছে পুঁজিবাজার।

ফলে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের মিশ্র প্রবনতার মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এছাড়া ভালো মৌলভিত্তি ও বড় মুলধনী কোম্পানির শেয়ার বিক্রির চাপে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না পুঁজিবাজার।

একাধিক বিনিয়োগকারীর সাথে আলাপকালে বলেন, এ ভাবে পুঁজিবাজার চলতে পারে না। দিনের পর দিন টানা দরপতন হলেও নীতি নির্ধারকরা কোন ভুমিকা নিচ্ছেন না। বিনিয়োগকারীদের পুঁজি শেষ হওয়ার পথে। লাখ লাখ বিনিয়োগকারী মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ অবস্থায় বাজার নিয়ে বিএসইসি কোন কার্যকরী ভুমিকা নিচ্ছে না।

অথচ দিন যতই যাচ্ছে বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পাল্লা ভারী হচ্ছে। আস্থা ও তারল্য সংকটে হাহাকার হয়ে পড়ছে পুঁজিবাজার। এ অবস্থায় বাড়ছে ক্রেতা সংকট হিড়িক। নিয়ন্ত্রক সংস্থা পুঁজিবাজার ইস্যুতে দ্রুত কোন কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে বিনিয়োগকারীরা নি:স্ব হয়ে যাবে।

জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে .৩০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৭৩৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৬৩ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ৯৪ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৪০০ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৯ টির, দর কমেছে ২৩৩ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৮ টির। ডিএসইতে ৬৭৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৯৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকার ।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ১৮৮ পয়েন্টে। সিএসইতে ২২৭ টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির মধ্যে ৯৫ টির দর বেড়েছে, কমেছে ১০৬ টির এবং ২৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।