১২ কোম্পানির শেয়ার বিক্রির চাপে টালমাতাল পুঁজিবাজার
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে সূচক বাড়লেও কমেছে টাকার পরিমাণে লেনদেন। এদিন মুলত ১২ কোম্পানির শেয়ার বিক্রির চাপে সূচকের মন্দা লাগে। ফলে সূচকের বড় উত্থান হলেও দিনশেষে নামমাত্রা সূচকের উত্থান হয়েছে। ফলে বাজারে পতনে নামাতে ১২ কোম্পানি সর্বোচ্চ চেষ্টায় ছিলো।
কোম্পানিগুলো হলোঃ বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, খান ব্রাদার্স, পাওয়ার গ্রিড, বেক্সিমকো ফার্মা, আইএফআইসি ব্যাংক, ওরিয়ন ইনফিউশন, রূপালী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, কোহিনুর কেমিক্যাল এবং আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল: ডিএসইর সূচকের পতন ঘটাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা ছিলো বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলের। আগের দিন কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৫৭ টাকা ৬০ পয়সা। আজ লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ১৫০ টাকা ৬০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর ৭ টাকা কমেছে। এর ফলে কোম্পানিটির মাধ্যমে সূচক কমেছে ৫.৪৪ পয়েন্ট। বাজারকে ফেলে দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে।
খান ব্রাদার্স: বাজারকে ফেলে দিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চেষ্টা ছিলো খান ব্র্রাদার্সের। আগের দিন খান ব্রাদার্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৫৬ টাকা ৮০ পয়সা। আজ লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ১৪১ টাকা ২০ পয়সায়। শেয়ারটির দর ১৫ টাকা ৬০ পয়সা বা ৯.৯৫ শতাংশ কমেছে। এর ফলে কোম্পানিটির মাধ্যমে সূচক কমেছে ৪.৪৪ পয়েন্ট।
পাওয়ার গ্রিড: আগের দিন পাওয়ার গ্রিডের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩৯ টাকা ৮০ পয়সায়। আজ লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ৩৮ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারটির দর ১ টাকা ৫০ পয়সা বা ৩.৭৭ শতাংশ কমেছে। কোম্পানিটির মাধ্যমে সূচক কমেছে ২.৩৬ পয়েন্ট। বাজারকে ফেলে দিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালায় পাওয়ার গ্রিড।
আজ বাজারকে ফেলে দিতে অন্য যেসব কোম্পানি চেষ্টা চালায় সেগুলোর মধ্যে: বেক্সিমকো ফার্মার ২.২০ পয়েন্ট, আইএফআইসি ব্যাংকের ১.৬০ পয়েন্ট, ওরিয়ন ইনফিউশনের ১.৪৮ পয়েন্ট, রূপালী ব্যাংকের ১.৪২ পয়েন্ট, সিটি ব্যাংকের ১.১৭ পয়েন্ট, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ১.১৬ পয়েন্ট, ন্যাশনাল ব্যাংকের ১.১৩ পয়েন্ট, কোহিনুর কেমিক্যালের ১.১১ পয়েন্ট এবং আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের সূচক ১ পয়েন্ট কমেছে।