দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) মূল্য সূচকের মিশ্র প্রবণতায় মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ডিএসইতে সূচকের উঠানামার মধ্যে দিয়ে লেনদেন চললেও দিনশেষে সূচক বেড়েছে ১৮ পয়েন্ট। একই দিনে লেনদেন হয়েছে ৪৮১ কোটি টাকা। যা ডিএসইতে ২৯ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন। তবে ডিএসইর ৭ কোম্পানির শেয়ার বিক্রির চাপে সূচকের বড় উত্থানে বাঁধা ছিলো।

মুলত শীর্ষ কোম্পানিগুলোর শেয়ার বিক্রির চাপ থাকার ফলে বাজার ঘুরে দাঁড়াতো পারছে না। এসব কোম্পানির শেয়ার কোন কোন ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে বিক্রির করছে বিএসইসি’র খতিয়ে দেখা উচিত। তা না হলে বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর সংকটে পড়বে। কোম্পানিগুলো হলোঃ বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, রেনেটা, ব্র্যাক ব্যাংক, লিন্ডে বিডি, স্কয়ার ফার্মা, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক এবং ফরচুন সুজ।

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল: এই কোম্পানির শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের কর্মদিবস ছিল ১৪৬ টাকা ৩০ পয়সায়। আজ লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ১৩৯ টাকা ৫০ পয়সায়। অর্থাৎ শেয়ারটির দর ৬ টাকা ৮০ পয়সা কমেছে। এর মাধ্যমে সূচক কমেছে ৫.২৯ পয়েন্ট। বাজারকে পতনের দিকে টানতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকার রেখেছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল।

রেনেটা: শেয়ারবাজারকে পতনে ফেলতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখেছে রেনেটা। আগের দিন রেনেটার শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৭৪০ টাকা ৩০ পয়সায়। আজ লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ৭২৩ টাকা ২০ পয়সায়। অর্থাৎ আজ শেয়ারটির দর ১৭ টাকা ১০ পয়সা কমেছে। শেয়ারটির দর কমার কারণে সূচক ৩.৯৮ পয়েন্ট কমেছে।

ব্র্যাক ব্যাংক: শেয়ারবাজারকে পতনে টেনে ধরতে তৃতীয় সর্বোচ্চ ভূমিকার রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের। ব্যাংকটির শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের কর্মদিবস ছিল ৫৫ টাকা ১০ পয়সায়। আজ লেনদেন শেষে এর ক্লোজিং দর হয় ৫৪ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ আজ শেয়ারটির দর ৮০ পয়সা কমেছে।

এর মাধ্যমে সূচক কমেছে ৩.১৭ পয়েন্ট। আজ বাজারকে পতনে ফেলে দিতে অন্য যেসব কোম্পানির অবদান রয়েছে সেগুলোর মধ্যে লিন্ডে বিডির ২.১১ পয়েন্ট, স্কয়ার ফার্মার ১.৯০ পয়েন্ট, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ১.১৬ পয়েন্ট এবং ফরচুন সুজের সূচক ১.০৩ পয়েন্ট কমেছে।