দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেছেন, একটি সমৃদ্ধ ও সফল পুঁজিবাজার গড়তে হলে শুধুমাত্র বিএসইসি নয় বরং পুঁজিবাজারের সাথে সম্পৃক্ত সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ম মাফিক নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হবে। পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কারে সকলকে অবদান রাখতে হবে। গত ১ অক্টোবর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে ৭ স্টেকহোল্ডার প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

পুঁজিবাজারের সার্বিক সংস্কারে রোডম্যাপ তৈরির বিষয়ে ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ), বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), অ্যাসোসিয়েশন অব ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ (এসিআরএবি), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি), ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি), ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ডস অব বাংলাদেশ (আইবিএবি) এবং ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ(আইসিএমএবি) এর শীর্ষ প্রতিনিধিতের সাথে মত বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান ছাড়াও সংস্থাটির কমিশনার মুঃ মোহসিন চৌধুরী, কমিশনার মোঃ আলী আকবর, কমিশনার ফারজানা লালুখ এবং বিএসইসির নির্বাহী পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় স্টেহোল্ডার প্রতিষ্ঠানসমূহের শীর্ষ প্রতিনিধিবৃন্দ দেশের শেয়ারবাজারের সার্বিক সংস্কার সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের মতামত ও প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। এ সময় দেশের শেয়ারবাজারের উন্নয়ন ও বিকাশের পথে বিদ্যমান বিভিন্ন অন্তরায় কিংবা প্রতিবন্ধকতার কথাও উঠে আসে।

মতবিনিময় সভায় তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান, বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য অংশীজনসহ সমগ্র শেয়ারবাজারের রেগুলেটরি কাঠামোর সংস্কার, শেয়ারবাজারের মনিটরিং কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ, সুশাসন নিশ্চিতকরণ, সিকিউরিটিজ আইনের যথাযথ পরিচালন, বাস্তবায়ন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির সাথে সাথে যথাযথ ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং নিশ্চিতকরণ, বিনিয়োগ শিক্ষার প্রসার ও বিকাশের উদ্যোগ গ্রহণ,

শেয়ারবাজার বিষয়ে ভালো মানের গবেষণা পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ ও উৎসাহিতকরণের সাথে সাথে গবেষণা লব্ধ জ্ঞানের আলোকে সংস্খারের উদ্যোগ গ্রহণ, আইপিও লিস্টিং এর রুলস ও আইপিও অনুমোদনের প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডিরেক্ট লিস্টিং করার প্রক্রিয়া পুনরায় চালুকরণ, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর ট্যাক্স বেনিফিট যুক্তসঙগতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার আনয়ন, লভ্যাংশ ও ক্যাপিটাল গেইনের উপর কর আরোপের নীতির সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সাথে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ এবং জাতীয় অর্থায়ন কৌশলপত্রে তথ্য বাটজেটে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের উৎস হিসেবে শেয়ারবাজাকে অন্তর্ভূক্ত করার প্রস্তাবনা উঠে এসেছে।

সভার আলোচনায় পুঁজিবাজারের উপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করে পুঁজিবাজারের গঠনমূলক ও টেকসই সংস্কার সাধনের বিষয়টিতে জোর দেয়া হয়। দেশের শেয়ারবাজারের সংস্কার ও উন্নয়নে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনসমূহের সমন্বিত উদ্যোগের মাদ্যমে যার যার অবস্থান থেকে সকলকে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করার হয়।