দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) সমালোচিত ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানের দাপট এখনও বিদ্যমান। তার সহযোগীরা পাচ্ছেন পদোন্নতি, আর আইনের জাল থেকে বাঁচতে চাকরি ছেড়ে দেশ ছাড়ার প্রক্রিয়ায় আছেন আরেক অভিযুক্ত ডিজিএম ফারুক আলম। সব অনিয়মের নেপথ্যে ভূমিকা রাখা এমডি আবুল হোসেন আছেন বহাল তবিয়তে। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা কারসাজির মাধ্যমে রুগ্ণ প্রতিষ্ঠান ফরচুন থেকে ৫০ লাখ শেয়ার কিনে আইসিবির লোকসান করেছে ৪১ কোটি টাকা।

অফিস ফ্লোর কিনতে অতিরিক্ত দাম দেখিয়ে ১৫ কোটি টাকা দুর্নীতির তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং অডিট দপ্তরের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও স্বপদে থেকে দাপট দেখিয়ে চলেছেন বিগত সরকারের আমলের দুর্নীতিবাজরা।

জানা গেছে, বিএসইসির গত ১ সেপ্টেম্বরের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বেক্সিমকো সুকুক বন্ড, বেস্ট হোল্ডিং আইপিও, ফরচুন সুজের শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ে কারসাজিসহ বিষদ অনুসন্ধানের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। এ-সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, সালমান এফ রহমানের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বেক্সিমকোর সুকুক ইস্যুতে একই সঙ্গে স্পেশাল পারপাস ভেহিকল বা এসপিভি ও ট্রাস্টির দায়িত্ব পালন করছে আইসিবি। একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ দুটি কাজ করা বিএসইসির ইনভেস্টমেন্ট সুকুকবিধি ২০১৯-এর পরিপন্থি। তবে বেক্সিমকো, বিএসইসি ও আইসিবির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে জামানত সম্পদ বন্ধক না রেখে সুকুক বন্ড ইস্যু করে জনগণের বিপুল অর্থ পকেটস্থ করেছে বেক্সিমকো।

জানা গেছে, বেক্সিমকো সুকুক ব্যবস্থাপনার জন্য ‘এসপিভি ইউনিট’ নামে আইসিবিতে একটি আলাদা অফিস বেক্সিমকো সুকুকের টাকায় পরিচালিত হয়। এখানে আইসিবি ম্যানেজমেন্টের কাছের লোকদের পোস্টিং হয়। বর্তমানে এই ইউনিটের দায়িত্বে আছেন আইসিবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এবং ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’ আইসিবি শাখার বর্তমান সহসভাপতি শরিকুল আনাম দিপু। তিনি এই সুযোগে সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন এবং চলতি বছরের ১৬ জুলাই আইসিবির জিএম পরীক্ষায় পদোন্নতির পথ সুগম করেন।

সালমান এফ রাহমানের ইশারায় পদোন্নতির জন্য তিনি মনোনীত হন বলে জানা যায়। পরবর্তীতে দেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলন শুরু হলে গত ৫ আগস্টের পর প্রমোশন প্রক্রিয়া আইসিবিতে এসে আটকে যায়। বারবার বোর্ড মিটিং ডেকেও বিভিন্ন বাধার মুখে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল হোসেন পিছিয়ে যান। এরপর আইসিবিতে সদ্য যোগদানকারী বোর্ড চেয়ারম্যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক প্রফেসর আবু আহমেদের হাত দিয়ে প্রমোশনের কাজটি করিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে আইসিবি গত ১২ সেপ্টেম্বর পুনরায় বোর্ড মিটিং ডাকে। বোর্ড খুব গোপনীয়তার সঙ্গে তাকে পদোন্নতির সুপারিশ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

এক্ষেত্রে সম্প্রতি বাতিল হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী ব্যাংকের এমডি এবং সাধারণ বীমা করপোরেশনের আওয়ামী আমলা এমডিসহ আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত পরিচালকরা তার পদোন্নতির সুপারিশ করেছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। পদোন্নতির সুপারিশ মন্ত্রণালয়ে পাঠালে তা অর্থ উপদেষ্টার অনুমোদনের জন্য উপস্থাপিত হবে।

এ কাজে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়ে হাসিনা সরকারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাকে সহায়তা করছেন বলে জানা গেছে। বিগত সময়ের অন্যায্য পদোন্নতি প্রক্রিয়া বর্তমানে বাস্তবায়ন হওয়া নিয়ে আইসিবির কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, পদোন্নতির সুপারিশপ্রাপ্ত সুকুক ইউনিটের ডিজিএম শরিকুল আনাম দিপুর বিরুদ্ধে গুরুতর দুর্নীতির প্রমাণ রয়েছে। আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোং-এ প্রেষণে চাকরিকালে তার স্ত্রী লায়লা নূর (অ্যাকাউন্ট নং ৭৫৩২), পূত্র ইনতিসার আনাম (অ্যাকাউন্ট নং ৮৮৩৫) এবং তাদের একটি যৌথ অ্যাকাউন্টের (অ্যাকাউন্ট নং ৮৩৯৬) মাধ্যমে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বিপুল পরিমাণে মার্জিন ঋণ নিয়ে শেয়ার ক্রয় করে দুর্নীতি করেছেন।

এই তিনটি অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করে দেখা যায়, লায়লা নূরের অ্যাকাউন্টে ১৪ লাখ ২১ হাজার টাকা নিট ডিপোজিটের বিপরীতে গত ২৯ আগস্ট পর্যন্ত স্থিতি ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা ঘাটতি আছে। এছাড়া যৌথ অ্যাকাউন্টে ২০ লাখ ১৮ হাজার টাকা নিট ডিপোজিটের বিপরীতে বর্তমান স্থিতি ঘাটতি আছে প্রায় প্রায় ১ কোটি ৩ লাখ টাকা এবং তার পুত্রের ইনতিসার আনাম অ্যাকাউন্টে ১৮ লাখ ২১ হাজার টাকা জমার বিপরীতে ঘাটতি প্রায় ৪২ লাখ টাকা।

তাদের অনুকূলে মোট ঘাটতির অঙ্ক প্রায় ৩ কোটি ৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ তাদের কাছে সরকারের পাওনা ৩ কোটি টাকার বেশি। এসব অর্থ অনিয়মের মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। আর জমা করা অর্থ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত কি না তা নিয়েও তদন্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে জানতে শরিকুল আনাম দিপুর মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। পরবর্তীতে খুদেবার্তা পাঠালেও তিনি এড়িয়ে যান।

নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০২২ সালের ৯ মে ১২৪ টাকা ২৩ পয়সা দরে ফরচুনের ২৫ লাখ শেয়ার কেনে আইসিবি। পরবর্তীতে ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর ৭৯ টাকা ৬৬ পয়সা দরে আরও ২৫ লাখ শেয়ার কেনা হয়। দুই দফায় কেনা এই ৫০ লাখ শেয়ারের গড় মূল্য দাঁড়িয়েছে ১০১ টাকা ৯৪ পয়সা। অথচ গত সোমবার ফরচুনের শেয়ারমূল্য কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৯ টাকা ৯০ পয়সা।

সে হিসাবে ৫০ লাখ শেয়ারের মূল্য কমে দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক ফরচুনে বিনিয়োগ করেই আইসিবির লোকসান হয়েছে ৪১ কোটি টাকা। এদিকে গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে শেয়ারটি জেড ক্যাটাগরিতে ট্রেড হচ্ছে। এতে আইসিবির কমবেশি ৬০ কোটি টাকা আটকা পড়ে গেছে। আইসিবির শাখা অফিসগুলো, সাবসিডিয়ারি কোম্পানির বিনিয়োগ বিবেচনা করা হলে, এই ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেড়ে যাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, আইসিবির শেয়ার কেনাবেচায় যুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে অন্যতম ডিজিএম ফারুক আলম। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা হওয়ার সুবাদে সাবেক অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামাল ও তার সহযোগীদের সঙ্গে তার বিশেষ যোগাযোগ ছিল। তিনি দীর্ঘদিন আইসিবির পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট বিভাগে কর্মরত ছিলেন এবং এমডি আবুল হোসেনের আস্থাভাজন হিসেবে শেয়ারের কারসাজির মাধ্যমে তিনিসহ আইসিবির ভেতর ও বাইরের একটি চক্র বিপুল বিত্তের মালিক হয়েছে।

আইসিবি সূত্রে জানা যায়, বিএসইসির তদন্তাধীন ফরচুন সুজ লিমিটেডের শেয়ার কারসাজিতে আইসিবি সরাসরি তথা এমডি আবুল হোসেন এবং ডিজিএম ফারুক আলমসহ একটি গ্রুপ জড়িত। ফারুক আলম এরই মধ্যে দেশ ত্যাগের সব প্রস্তুতি শেষ করেছেন বলে তার ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা গেছে। এ লক্ষ্যে তিনি গত ৫ সেপ্টেম্বর চাকরি হতে ইস্তফা দিয়েছেন, যা ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে।

আগামী ৬ অক্টোবর অবসর কার্যকর হওয়ার পর যেকোনো সময় তিনি দেশ ত্যাগ করবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। ইতঃপূর্বে তিনি স্ত্রী ও কন্যাদের যুক্তরাষ্ট্রে রেখে এসেছেন। তার বিরুদ্ধে আইসিবির অর্থ বিদেশে পাচার করার বিষয়ে আলোচনা আছে। বিএসইসির তদন্তে সত্য উদঘাটন ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তাকে দেশত্যাগে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে আইসিবির প্রভাবশালী চক্র।

এতে ফারুক আলমের অনুপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে একতরফা দোষ চাপানোর সুযোগ নেবে বর্তমান এমডি ও তার সহযোগীরা। এমডি ফারুক আলম চক্রের অন্য ব্যক্তিরা হলেন: আইসিবির ডিজিএম শরিকুল আনাম দিপু, ডিজিএম তোরাব আহমেদ খান চৌধুরী, ডিজিএম জহিরুল ইসলাম খান, এমডির ভাগিনা রিয়াসাত জামান, অফিসার আতিকুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশ না করে আইসিবির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, আইসিবির স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে চক্রটি আইসিবি তথা পুঁজিবাজারের অনেক ক্ষতি করেছে। তদন্ত শুরু হওয়ার পর ফারুক আলম চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ এর বড় প্রমাণ। তার দেশ ত্যাগে বাধা দেওয়া না হলে আইসিবির অনেক কুকীর্তি আড়ালেই থেকে যাবে।

এ বিষয় জানতে চাইলে ডিজিএম ফারুক আলম বলেন, ‘বিএসইসির তদন্ত কমিটির কাছে আমি আমার বক্তব্য তুলে ধরেছি। কোনো শেয়ার কেনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আমার একক কোনো ক্ষমতা নেই। এমডিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সম্মতিতেই এসব শেয়ার কেনা হয়েছে। স্বেচ্ছা-অবসরের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত প্রয়োজনেই অবসরে যাচ্ছি। আমার আগেও অনেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন, তাই আমাকে নিয়ে প্রশ্ন থাকার কথা না।
আইসিবির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আইসিবির সাবসিডিয়ারি কোম্পানিগুলোর ধ্বংসের শুরু সাবেক এমডি ফায়েকুজ্জামানের হাত ধরে। ফায়েকুজ্জামান-আলাউদ্দিন (সাবেক সিইও) গং সাবসিডিয়ারি কোম্পানি তিনটির ফ্লোর ক্রয় ও নবসজ্জায় ব্যাপক দুর্নীতি করেছে।

এ বিষয়ে সরকারের বাণিজ্যিক অডিট অধিদপ্তর আপত্তি দিয়েছে এবং দুদক তদন্তে নেমেছে। গত ১৫ বছরে আইসিবিতে ইইএফ ফান্ড লুট, শেয়ারবাজারে কারসাজি, ট্রাস্টির দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা, ক্রমাগত ঋণগ্রহণ, খারাপ প্রতিষ্ঠানে এফডিআর করা, আত্মীয়-স্বজন নিয়োগ, পদোন্নতি প্রদানের খবর ওপেন-সিক্রেট। ১১ হাজার কোটি টাকা ঋণের দায় নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

বিতর্কিত সালমান এফ রহমান, নাফিজ সারাফত, সাবেক অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামাল, শিবলি রুবাইয়াত, শেখ সামসুদ্দিন, শেখ কবির গংকে খুশি করে নিজের চেয়ার পাকাপোক্ত করতে আইসিবির বর্তমান এমডি আবুল হোসেন প্রতিষ্ঠানের স্বার্থের দিকে তাকাননি।

জানা গেছে, আবুল হোসেন ১৯৯৮ সালে বিশেষ সুবিধায় সরাসরি উচ্চ পদে আইসিবিতে নিয়োগ পান। এমডি হিসেবে তার ৫ বছরের মেয়াদে আইসিবি ক্রমাগত ঋণের দায়ের চাপে পড়লেও আত্মীয়-স্বজনসহ তার সময়ে এযাবৎকাল সবচেয়ে বেশি অপ্রয়োজনীয় নিয়োগ, পদোন্নতি দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির বোঝা বাড়িয়েছেন। সম্প্রতি তার আপন ভাগিনা রিয়াসাত জামানকে তার ব্যাচের মধ্যে জুনিয়র অবস্থান থেকে সবচেয়ে সিনিয়র করে প্রমোশন দেওয়া এবং জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে বঙ্গবন্ধু পরিষদ আইসিবি শাখার সহসভাপতি ও প্রচার সম্পাদককে এজিএম পদে পদোন্নতি দিয়েছেন। এতে বঞ্চিত কর্মকর্তারা সুপারনিউমারারি পদোন্নতি দাবি করেন। এ নিয়ে আইসিবিতে একটি কমিটিও হয়েছে।

গোপালগঞ্জের ৫ বার এক্সটেনশন পাওয়া সাবেক এমডি ফায়েকুজ্জামানের সময় হতে আবুল হোসেনের সময়কাল পর্যন্ত আইসিবির সকল নিয়োগ, পদোন্নতি, শেয়ার কেনাবেচা, বড় বড় ক্রয় তদন্ত করে সংস্কার শুরু করা দরকার বলে মনে করেন বিনিয়োগকারী ও আর্থিক খাতের অংশীজনরা। তাদের অনেকেই এই প্রতিবেদকের কাছে এসব অনিয়মের বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে এমডি আবুল হোসেন বলেন, পদোন্নতি প্রক্রিয়া এখন আর আমাদের হাতে নেই। মন্ত্রণালয় থেকেই সব করা হচ্ছে; আমরা শুধু পরামর্শ দিচ্ছি। আর শেয়ার কেনার বিষয়ে বলব কাজ করতে গেলে কিছু ভুল হতে পারে। আমাদের পর্যালোচনা টিম হয়তো শেয়ারের মান যাচাইয়ে ভুল করেছে। আমার বিষয়ে ঢালাও অভিযোগ করা হচ্ছে; কিন্তু তথ্যভিত্তিক পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে বিগত সময়ের চেয়ে আমি ভালো কাজ করেছি।