শহীদুল ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বিনিয়োগকারীরা। তবে বিক্ষোভের এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর কথা শুনে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা পিছু হটেন। বিএসইসি চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করতে আগের কার্যদিবসে বিনিয়োগকারীদের বেধে দেওয়া সময়সীমা গতকাল রোববার শেষ হয়েছে।

বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করেন, পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা আনতে ব্যর্থ হওয়ায় চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করতে হবে।তবে বিএসইসি চেয়ারম্যান পদত্যাগ না করে বিএসইসিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিএসইসিতে পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে। এদিন দুপুরে অনেক পুলিশ সদস্যকে বিএসইসি ভবনের নিচে অবস্থান করতে দেখা গেছে। এছাড়া বিএসইসির নিচ তলার ভিতরে কোস্ট গার্ড ও সেনা সদস্যদের দেখা গেছে।

এদিকে পুঁজিবাজারে টানা দরপতনের প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো মানববন্ধন করে বিনিয়োগকারীরা। ওইদিন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ দাবিতে সাড়ে ৩টার সময় নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেয় ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা। তবে দুপুর সাড়ে ১২ টায় বিএসইসি থেকে বাহির বা প্রবেশ বন্ধ করে রাখে বিনিয়োগকারীরা। এরপরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগে শনিবার পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছিল বিনিয়োগকারীরা।

নিরাপত্তা বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বৃহস্পতিবার কিছু বিনিয়োগকারীরা বিএসইসি ভবনের সামনে হট্টগোল করেছে। এছাড়া আজকেও তারা বিএসইসি ভবনের সামনে আসবেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানা গেছে। কিন্তু বিএসইসি একটি সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠান। এ কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সরকার নিরাপত্তা জোরদার করেছে।