দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কার্যালয়ে নিরাপত্তা দেবে সশস্ত্র বাহিনী। বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী ও সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমবার (৭ অক্টোবর) বিএসইসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, পুঁজিবাজার দেশের অর্থনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিএসইসির সরকার ঘোষিত গুরত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর (সিআইআই) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিএসইসির সুষ্ঠু নিরাপত্তা নিশ্চিতে আগারগাঁও শেরেবাংলা নগর প্রশাসনিক এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সহায়তা করবে মর্মে বৈঠকে আলোচনা হয়। বিএসইসির কার্যক্রম যাতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ও নির্বিঘ্নভাবে সম্পাদিত হয় তা নিশ্চিতেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিশন স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক ও আলোচনা করছে এবং একটি স্বচ্ছ, গতিশীল, বিনিয়োগ ও বিনিয়োগকারীবান্ধব পুঁজিবাজার তৈরিতে নিরলস কাজ করছে। বর্তমান কমিশন পর্যায়ক্রমে দেশের পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে। পুঁজিবাজারের সার্বিক সংস্কার সংক্রান্ত বিষয়ে বিএসইসির সঙ্গে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা স্টক এক্সেচেঞ্জ পিএলসি (ডিএসই),

চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচেঞ্জ পিএলসি (সিএসই), সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল), সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিসিবিএল), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম), বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটস (বিএএসএম) ও ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের (সিএমএসএফ) শীর্ষ নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

গত রোববারও পুঁজিবাজারে ক্রমাগত দরপতনের জন্য বিএসইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পদত্যাগের দাবিতে বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ করেন। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, নিয়ম না মানায় ২৮ প্রতিষ্ঠানকে ‘জেড ক্যাটাগরি’তে নামিয়ে আনার পাশাপাশি বেক্সিমকোর শেয়ারে কারসাজিকারীদের ৪২৮ কোটি টাকা জরিমানা করেছে বিএসইসি। বিএসইসির কর্মকর্তারা বলেছেন, আগের কমিশনের তদন্তের ওপর ভিত্তি করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই ব্যবস্থা নিয়েছে। আগের কমিশন কারসাজিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি।