শহীদুল ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দেশের অর্থনীতিতে প্রতি বছর প্রবৃদ্ধি হলেও, পুঁজিবাজারে উল্টা চিত্র। অস্থিতিশীল বাজারে হতাশা বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। বাজার ছেড়ে চলে গেছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও। বিশ্লেষকেরা বলছেন, টাস্কফোর্স গঠন করায় বাজারের প্রতি আস্থা ফিরবে। মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে রূপরেখা তৈরি করা গেলে, বাড়বে প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগ।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পুঁজিবাজার ইস্যুতে একের পর এক বৈঠক করলেও দরপতন থামছে না। ফলে টানা দরপতনের মধ্যে পড়ে প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ করা পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে দিন যতই যাচ্ছে ততই বিনিয়োগকারীদের মাঝে হাহাকার বাড়ছে।

এদিকে পুঁজিবাজার উন্নয়ন ও সংস্কারের লক্ষে (বিএসইসি) ৫ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করলেও তার কোন ইতিবাচক প্রভাব নেই পুঁজিবাজার। তবে গত সপ্তাহজুড়ে সূচক ও লেনদেন কমলেও বেড়েছে বাজার মূলধন। একই সাথে সপ্তাহটিতে ২ হাজার ৩০১ কোটি ৪০ হাজার টাকার বাজার মূলধন বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, সপ্তাহজুড়ে প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭২ হাজার ১১৫ কোটি ৫৭ লাখ ১০ হাজার টাকা। যা সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৪ হাজার ৪১৬ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন ২ হাজার ৩০১ কোটি ৪০ হাজার টাকা বেড়েছে।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ১ হাজার ৪৬৬ কোটি ৭২ লাখ ৭০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগের সপ্তাহে হয়েছিল ২ হাজার ১৩১ কোটি ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ৬৬৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪২২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে এবং

ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৯৮৪ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ২০৯ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ৩৯৫ টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২১১ টির, কমেছে ১৪৬ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮ টির শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।