দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের বড় দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে ৭ কোম্পানির শেয়ার বিক্রির ডিএসইতে সূচকের বড় দরপতন হয়েছে। শীর্ষ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউজে এসব কোম্পানির শেয়ারের সেল প্রেসারে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পুঁজিবাজার। মুলত সূচকের বড় দরপতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে সাত কোম্পানি।

৭ কোম্পানির শেয়ার বিক্রির চাপে সূচকের পতন ঘটিয়েছে ৩৫.০৪ পয়েন্ট বা মোট সূচকের ৭২ শতাংশ। কোম্পানিগুলো হলো: ইসলামী ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা, লাফার্জহোলসিম, বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো, সিটি ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক এবং আইএফআইসি ব্যাংক।

ইসলামী ব্যাংক: আগের দিন ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৫৬ টাতা ৮০ পয়সা। আজ লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ৫৩ টাকা ৫০ পয়সায়। অর্থাৎ আজ শেয়ারটির দর ৩ টাকা ৩০ পয়সা বা ৫.৮১ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে শেয়ারবাজারে ব্যাংকটির মাধ্যমে সূচক কমেছে ২১.৮৬ পয়েন্ট বা মোট সূচকের ৪৫ শতাংশ। এর মাধ্যমে বাজারকে পতনে নামাতে ইসলামী ব্যাংক সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে।

বেক্সিমকো ফার্মা: বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ৭৩ টাকা ৩০ পয়সায়। আজ লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ৭০ টাকা ৯০ পয়সায়। অর্থাৎ শেয়ারটির দর ২ টাকা ৪০ পয়সা বা ৩.২৭ শতাংশ কমেছে। এর ফলে কোম্পানিটির মাধ্যমে শেয়ারবাজারে সূচক ৩.০৮ পয়েন্ট কমেছে। অর্থাৎ বাজারকে পতনে ঠেলে দিতে কোম্পানিটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখেছে।

লাফার্জহোলসিম: আগের দিন লাফার্জহোলসিমের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৫৯ টাকা ১০ পয়সায়। আজ লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ৫৭ টাকা ৬০ পয়সায়। অর্থাৎ শেয়ারটির দর ১ টাকা ৫০ পয়সা বা ২.৫৪ শতাংশ কমেছে। এর ফলে শেয়ারবাজারে কোম্পানিটির সূচক ২.৫৭ পয়েন্ট কমেছে। যা বাজারকে পতনে নামাতে তৃতীয় সর্বোচ্চ ভূমিকা।

বাজারকে পতনে নামাতে অন্য যেসব কোম্পানির ভূমিকার রয়েছে সেগুলোর মধ্যে বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর ২.৪১ পয়েন্ট, সিটি ব্যাংকের ১.৯৩ পয়েন্ট, রূপালী ব্যাংকের ১.৬১ পয়েন্ট এবং আইএফআইসি ব্যাংকের মাধ্যমে সূচক ১.৫৮ পয়েন্ট কমেছে।