মহসিন শিকদার, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: টানা দরপতনের বৃত্তে আবদ্ধ হয়ে পড়ছে দেশের পুঁজিবাজার। প্রতিদিনই পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। পাশাপাশি টানা দরপতনে লেনদেন খরাও দেখা দিয়েছে। ফলে দিন দিন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বাড়ছে হতাশা। তবে বাজার স্থিতিশীল না করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা একেক দিন এক হঠকারী সিদ্ধান্তে অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে পুঁজিবাজার।

তবে বাজার কী ভাবে স্থিতিশীল করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার ন্যূনতম ধারনা নেই বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা। অন্যদিকে বিএসইসি চেয়ারম্যান ব্যস্ত রয়েছেন তদন্ত কমিটি ও জরিমানা ইস্যুতে। ফলে শেয়ারের দাম প্রতিদিন কমলেও এ বিষয় মুখ খুলছে না নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এখন বিনিয়োগকারীদের প্রশ্ন শেয়ারের দাম প্রতিদিন কমলে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরবে কী ভাবে।

তেমনি সিরামিকস খাতের কোম্পানি ফুয়াং সিরামিকস গত দুই মাসের ব্যবধানে ২২ টাকায় শেয়ার এখন ১২ টাকায় চলে আসছে। এতে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি নতুন করে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত উধাও হয়ে গেছে। এ অবস্থায় ফুয়াং সিরামিকস শেয়ারে বিনিয়োগ করে নি:স্ব হয়ে পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা ।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিরামিকস খাতের কোম্পানি ফুয়াং সিরামিকসের শেয়ারের দর গত ২ মাসে বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। মুলত রাশেদ মাকসুদ কমিশনের দায়িত্ব নেওয়ার পর শেয়ারটির দর কমেছে ১০ টাকা কমেছে। ফলে টানা দরপতনে ফুয়াং সিরামিকসের শেয়ারহোল্ডারা পুঁজি নিয়ে অজানা আতঙ্কে রয়েছেন। মুলত টানা দরপতনের ফলে বর্তমান বাজার স্থিতিশীলতার অন্তরায় বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা।

কারণ বিনিয়োগ করে টানা লোকসান হতে থাকলে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরবে না। নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিনিয়োগকারীদের পুঁজির নিরাপত্তা দিতে হবে। তা না হলে বিনিয়োগকারীদের বাজারমুখী চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবো। ফুয়াং সিরামিকসের শেয়ারের দর গত ১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন দামে লেনদেন হচ্ছে। গত এক বছরে কোম্পানিটির দর কমেছে ২০ টাকা। আর গত দুই মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১০ টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, গত ১ বছরের মধ্যে শেয়ারটির সর্বনিম্ন দর ছিল ১২ টাকা ৫০ পয়সা; আর সর্বোচ্চ দর ৩১ টাকা ১০ পয়সা। সর্বশেষ ১৭ অক্টোবর কোম্পানিটির শেয়ার ১২ টাকা ৫০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। এই হিসাবে গত ১ বছরে শেয়ারটির দর ১৮ টাকা ৬০ পয়সা। ফুয়াং সিরামিক ধারাবাহিক ভাবে লভ্যাংশ দিয়ে আসছে কোম্পানিটি গত পাঁচ বছর ধরে নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

বর্তমানে কোম্পানিটি বি ক্যাটাগরিতে রয়েছে। কোম্পানিটির পরিচালকদের হাতে ৩০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৫ শতাংশ ৪৭ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের হাতে ০.৪০ শতাংশ এবং সাধারন বিনিয়োগকারীদের হাতে ৬৪.১৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।