স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের সিইও নাঈমের অনিয়মের ফিরিস্তি
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু নাঈম মো: ইব্রাহিমের বিভিন্ন অনিয়মও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে অনিয়ম যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে। তিনি নানা অনিয়ম কর্মকান্ডে জড়িত থাকলেও সব সময় থাকছেন ধরাছোয়ার বাইরে। মুলত স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের সরকারের প্রভাবশালী লোকদের ব্যবহার করে তিনি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বনে গেছেন। এদিকে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে পুঁজিবাজারে হরিলুটের আরেক মাস্টারমাইন্ড ছিলেন আবু নাঈম মো: ইব্রাহিম।
লুটেপুটে খাওয়া সমবায় অধিদপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবুল খায়ের হিরোর নেপথ্য কারিগর হিসেবে ছিলেন এই নাঈম। বিভিন্ন শেয়ারের নাম বেনামে কারসাজি করে হিরু সাথে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন তিনি। ফলে হিরোর কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন পুঁজিবাজার থেকে কোটি কোটি টাকা হাতানো এই মাস্টারমাইন্ড।
পুঁজিবাজার লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপের উদ্যোগ নেওয়া হলেও এই নাঈমের নাম কোথাও আসছে না। বরং তিনি এখনো স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বহাল তবিয়তে রয়েছেন। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি করা হলেও তার বিরুদ্ধে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
গত কয়েক বছরে পুঁজিবাজারে কারসাজি সিন্ডিকেটের একাধিক ব্যক্তির নাম এসেছে। এর অন্যতম কারসাজি সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে ছিলেন আবুল খায়ের হিরো। মুলত তার সিন্ডিকেটের সদস্য ছিলেন বেশ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউজের সিইওরা জড়িত ছিলেন। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আবু নাঈম মো: ইব্রাহিম।
আবু নাঈম মো: ইব্রাহিমের স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ক্যাপিটালে চাকরীর আগে এবি ব্যাংক ইনভেস্টমেন্টে চাকরী করেন।
মুলত ঐ সময় নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তাকে চাকুরীচূত করা হয়। এর পর স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হয়ে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। মুলত স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের সরকারের প্রভাবশালী কারসাজির মুল হোতা হিরুর সঙ্গে সখ্য তুলে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
ঐ সময় হিরুর বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার উচ্চমুল্যে কোম্পানির ডিলার কোডের শেয়ার কিনেন। বিনিময়ে তিনি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। এছাড়া আবু নাঈম মো: ইব্রাহিম এর আগে পিপলস লিজিং এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডে চাকরী করেন। চাকরী করাকালিন সময়ে নানা অভিযোগে তাকে চাকরীচূত করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের সিই আবু নাঈম মো: ইব্রাহিম বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি ডিগ্রী পাশে তৃতীয় বিভাগে উর্ত্তীন হলেও দ্বিতীয় বিভাগের সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরী করেন।
তিনি আওয়ামীলীগ সরকারের সাবেক সমাজকল্যানমন্ত্রী দিপু মনি ও সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। এ বিষয় এক সাংবাদিক জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিককে হুমকি দিয়েছেন এবং রাজনৈতিক নেতাদের পরিচয় দিয়ে হেনাস্ত করার হুমকি দেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ আমলে শেয়ারবাজারে হরিলুটের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড সমবায় অধিদপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবুল খায়ের হিরোর নেপথ্য কারিগর ছিলেন এই আবু নাঈম মো: ইব্রাহিম। পুঁজিবাজার লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপের উদ্যোগ নেওয়া হলেও এই ইব্রাহিমের নাম কোথাও আসছে না। তিনি এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন।