পুঁজিবাজারে টানা দরপতনে দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা, সংস্কারের নামে তামাশা
শহীদুল ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সুচকের বড় দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। ফলে টানা দরপতনে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা। তবে পুঁজিবাজার ধ্বংসের দায় নিয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানের পদত্যাগ করার হুঁশিয়ারি দেন বিনিয়োগকারীরা।
কারণ টানা দরপতন ঠেকাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা। টানা দরপতনে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব সিংহভাগ বিনিয়োগকারী। বিশেষ করে যারা ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেছেন ফোর্স সেলের গ্যাঁড়াকলে তাদের করুণ দশা।
একাধিক বিনিয়োগকারীরা জানান, সংস্কারের নামে বাজার অস্থিতিশীল করা হচ্ছে। বিএসইসি চেয়ারম্যান মাকসুদ কমিশনকে পদত্যাগ করতে হবে। গত দেড় দশকে বাজারে বাড়া জাঙ্ক শেয়ারের কারসাজি থামাতে কোম্পানিগুলো আলাদা করতে কমিশনের নেয়া উদ্যোগে দেখা দিয়েছে হিতে বিপরীত চিত্র। বিনিয়োগকারীদের দাবি, কোম্পানিকে সাজা দেয়ার নামে কমিশন মূলত তাদের কোণঠাসা করছে।
আজ সোমবার মতিঝিলে ঢাকা স্টক একচেঞ্জের সামনে করা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে কমিশন চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের পাশাপাশি বাইব্যাক আইন চালু করার দাবী জানান বিনিয়োগকারীরা। সেইসঙ্গে ফোর্স সেল বন্ধ না করলে বাজার বয়কটের হুঁশিয়ারি দেন তারা। এছাড়া অবিলম্বে সব ফোর্স সেল বন্ধ করতে হবে।
জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৬৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮৯৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৮৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ২৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৮০৫ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৭ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৫ টির, দর কমেছে ২৪৬ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৬ টির। ডিএসইতে ৩৫৭ কোটি ২৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৫৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩০৩ কোটি ৮০ লাখ টাকার ।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৮৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮২১ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৯২ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫২ টির দর বেড়েছে, কমেছে ১২৬ টির এবং ১৪ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।