শহীদুল ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। ফলে পতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না পুঁজিবাজার। বর্তমান বাজারের পরিস্থিতি বাজার আজ ভাল তো কাল খারাপ। এ অবস্থার মধ্যে দিনের পর দিন চলছে। যার ফলে বাজার নিয়ে আস্থা সংকটে পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা।

দীর্ঘদিন ধরে একটি স্থিতিশীল বাজারের দাবী জানিয়ে আসলেও বিনিয়োগকারীদের আশার আলো দেখছে না। এতে দিন দিন হতাশা বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের। তবে বাজার সংশ্লিষ্টরা শুধু বাজার নিয়ে আশার আলো দেখালেও বাস্তবে এর কোন মিল নেই পুঁজিবাজারে।

এদিকে গত সপ্তাহে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর এবং পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির দুই ইতিবাচক সিদ্ধান্তে দুই কার্যদিবসে পুঁজিবাজারের সূচকের উত্থান হলেও স্থায়ী হয়নি। এর পর সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস দরপতন হলেও দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের কিছুটা উত্থান লেনদেন হয়েছিল। তবে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস ফের দরপতনের পুঁজিবাজার। এদিন সূচকের সাথে কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ২৯৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৮৩ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯৭০ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৪০০ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৬ টির, দর কমেছে ২১৬ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮ টির। ডিএসইতে ৫৭৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৭৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকার ।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৮০৮ পয়েন্টে। সিএসইতে ২১১ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৩টির দর বেড়েছে, কমেছে ১০৭ টির এবং ২১ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১২ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।