আস্থা ও তারল্য সংকটে হাহাকার পুঁজিবাজার, লেনদেনে ভাটা
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের উঠানামার মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে ডিএসইতে সূচকের কিছুটা উত্থান হলেও বাজার নিয়ে আতঙ্ক কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। তাছাড়া দিন যতই যাচ্ছে বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পাল্লা ততই ভারী হচ্ছে। বাজারের চিত্র এমন যে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কিনে লোকসান পড়ছেন।
ফলে বাজারে আস্থা ও তারল্য সংকটে হাহাকার পড়ছে। এছাড়া টানা দরপতনে লোকসানে শেয়ার বিক্রি করতে পারছে না বিনিয়োগকারীরা। এদিন আগের কার্যদিবসের তুলনায় টাকার অঙ্কে লেনদেন কমেছে ২৩ শতাংশের বেশি। ফলে ডিএসইতে লেনদেন কমে ফের ৩০০ কোটি টাকার ঘরে নেমেছে। এর মাধ্যমে ১৬ কার্যদিবসের মধ্যে বাজারটিতে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) তে ৩৯৩ কোটি ০৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ৫১৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ মঙ্গল বারের তুলনায় আজ লেনদেন ১২১ কোটি ৭৮ লাখ বা ২৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ কমেছে। এছাড়া এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর ও টাকার পরিমানে লেনদেন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ২৪৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৬২ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯৩৪ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৭৯ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৩ টির, দর কমেছে ১৮৩ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৮৩ টির। ডিএসইতে ৩৯৩ কোটি ৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১২১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা কম। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫১৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকার ।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৬৭২ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৯৮ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬০ টির দর বেড়েছে, কমেছে ১০১ টির এবং ৩৭ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৬ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।