দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ইস্যুতে সাংবাদিক ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ফজুলল বারী বলেন, বাজারে কোন বিনিয়োগকারী নেই। এখন যে বিনিয়োগকারী দেখছেন তা কারসাজি। বর্তমান পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা নেই বললেই চলছে। ফলে বাজারে চলছে টানা দরপতনের মাতম। টানা দরপতন হলেও বাজার নিয়ে কোন নিয়ন্ত্রক সংস্থা টু শব্দ করছে না। বিনিয়োগকারীদের পুঁজি প্রতিদিনই হাওয়া হলেও কেউ কথা বলছে না। এ ভাবে পুঁজিবাজার চলতে পারে না।

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে প্রতিটি পোর্টফোলিও ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বিনিয়োগকারীর পুঁজি শেষ। নতুন বিনিয়োগকারী বাজারে আসছে না। বর্তমান পুঁজিবাজারে যা চলছে তা ক্যাসিনোকে হার মানিয়েছে। বিনিয়োগকারী না থাকলেও নিজেরা নিজে লেনদেন করে বাজারটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। ক্যাপিটাল মার্কেট ও ক্যাসিনো মার্কেট একসঙ্গে চলতে পারে না।

একে অপরের শত্রু। বর্তমানে লেনদেনের টপ ২০ ক্যাসিনো মার্কেটের লক্ষণ। এরা নিজেরা নিজেদের মধ্যে লেনদেন করে। আজ সোমবার বিকাল ৩টায় আতীয় প্রেস ক্লাবে আবদুস সালাম হল তৃতীয় তলায় বিসিএমআইএ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা এসব দাবি পেশ করা হয়।

তিনি আরো বলেন, বাজারে কোন সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ নেই। বাজারে বিনিয়োগকারী না থাকায় কারসাজি চক্ররা নিজেরা লেনদেন করে ২০০ থেকে ৩০০ শত কোটি টাকা লেনদেন দেখাচ্ছে। ক্যাসিনো বাজার ও ক্যাপিটাল মার্কেট এক সাথে চলতে পারে না। বাজার যখন একটু সূচক বাড়ে তখন কারসাজি চক্র নিজেরা লেনদেন করে মুনাফা তুলে নেয়।

এছাড়া আইসিবির তিন হাজার কোটি টাকা দিয়ে বিনিয়োগকারীদের কোন কাজে আসবে না। বিনিয়োগকারীদের কাজে আসতে হলে আগে বাজারটাকে চাঙা করতে হবে। আইসিবির ৩ হাজার কোটি টাকা মধ্যে দুই হাজার কোটি টাকা লোন পরিশোধ করবে বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, পুঁজিবাজার চাঙা না হলে কখনো বিদেশী বিনিয়োগকারীরা আসবে না।

এ ভাবে চলতে থাকলে বাজার একদিন শেষ হয়ে যাবে। বিএসইসিতে দক্ষ লোক দিতে হবে। তা না হলে বিনিয়োগকারীরা বাজারমুখী হবে না। অর্থবাজার চাঙা হলেও পুঁজিবাজার চাঙা না হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে দক্ষ লোকের অভাব। যার প্রমান ইতিমধ্যে দেখা গেছে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন থেকে পুঁজিবাজারের সার্বিক অবস্থা ভালো নেই। বিশেষ কোনো কারণ ছাড়া এ সময়ে একযোগে কমছে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট দর। ফলে বাজার তার স্বরূপে ফিরতে পারছে না।ফলে বিএসইসি’র কোন ওষুধই কাজে আসছে না। চলছে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি হারানোর মাতম।