আস্থার সংকটে উল্টো পথে পুঁজিবাজার, মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা
তৌফিক ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহজুড়ে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কোন আশাই স্থিতিশীল হচ্ছে না পুঁজিবাজার বরং দিন যতই যাচ্ছে বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পাল্লা ততই ভারী হচ্ছে। বর্তমান বাজারের চিত্র এমন যে শেয়ার কিনলেই লোকসান। ফলে আস্থা নিয়ে শেয়ার কিনতে সাহস পাচ্ছে না বিনিয়োগকারীরা।
এদিকে বিনিয়োগকারীদের আস্থার ওপর নির্ভর করে পুঁজিবাজারের ভবিষ্যত। মূলত এবাজারের শক্তিই হলো বিনিয়োগকারীরা। তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারলেই বাজার স্থিতিশীল হবে। তা না হলে বাজার স্থিতিশীল রাখা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্য বিনিয়োগকারীদের বাজার নিয়ে উৎসাহিত করতে হবে বলে মনে করছেন ডিএসই’র পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন। কারণ বাংলাদেশে সার্বিক অর্থনীতির সাথে সমন্নয় রেখে পুঁজিবাজার বড় হয়নি। ইতোমধ্যে বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আশাবাদী এর ফল খুব শীঘ্রই বিনিয়োগকারীরা পাবেন।
এদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইতে সূচকের মিশ্রাবস্থায় টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। সপ্তাহটিতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। সপ্তাহটিতে ১ হাজার ৬৩৭ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা বাজার মূলধন যোগ হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৬২ হাজার ৭১৯ কোটি ১২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। যা সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৩৫৬ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার টাকায়।
অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন দশমিক ২৫ শতাংশ বা ১ হাজার ৬৩৭ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার বেড়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে ১ হাজার ৯০৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে হয়েছিল ২ হাজার ৩২৯ কোটি ২ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ৪২২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা টাকা কমেছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৯২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ১৬৬ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৯১৬ পয়েন্টে। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯০ টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২১৩ টির, কমেছে ৫১ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১২৬ টির শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।