শহীদুল ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: টানা দরপতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না পুঁজিবাজার। আইসিবির তিন হাজার কোটি টাকার ঋণ ছাড়ের খবরেও থামছে না দরপতন। এখন সবার মাঝে একটাই প্রশ্ন পুঁজিবাজার এই অস্থিতিশীলতার কারণ কী। কোন ইতিবাচক খবরেই ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। ফলে পুঁজিবাজারের ভবিষ্যত কী এ প্রশ্ন এখন বিনিয়োগকারীদের। তবে এদিন অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দরপতন হলেও দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ বস্ত্র ও বীমা খাতের কোম্পানি। ফলে দাম বাড়ার তালিকা বড় হয়েছে। ফলে বড় পতনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

একাধিক বিনিয়োগকারীর সাথে আলাপকালে বলেন, বর্তমান পুঁজিবাজারের মূল সমস্যা আস্থা সংকট। নিয়ন্ত্রক সংস্থার উপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা না থাকায় আইসিবির তিন হাজার কোটি টাকার ঋণ ছাড়ের খবরের পরও দরপতন খামছে না পুঁজিবাজার। মুলত নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিনিয়োগকারীদের আস্থা না ফিরিয়ে সংস্কারের নামে অস্থিতিশীল করেছেন।

ফলে কোন সুখবরে বাজার ভাল হচ্ছে না। এ কারণে বিনিয়োগকারীরা নতুন করে বিনিয়োগ করছেন না। এখন যে কোন মূল্যে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে তা না হলে বাজার স্থিতিশীল হবে না। আর বাজার স্থিতিশীল না হলে নতুন বিনিয়োগকারীরা বাজারমুখী হবে না।

জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে .১৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১৬৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক .৪২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৫৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক .৪৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯০৩ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৪০৫ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৮৫ টির, দর কমেছে ১৪৭ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৩ টির। ডিএসইতে ৩৮৩ কোটি ৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১০৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৭৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকার।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৪৩৯ পয়েন্টে। সিএসইতে ২০৮ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৪ টির দর বেড়েছে, কমেছে ৯৭ টির এবং ৩৭ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।