১৫ বছরে আ’লীগ সরকারের প্রশ্রয়ে পুঁজিবাজারে অনিয়ম-লুটতরাজ হয়েছে: হেলাল উদ্দিন
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, পুঁজিবাজারে গত ১৫ বছরে যে অনিয়ম ও লুটতরাজ হয়েছে, তার সবই আওয়ামী লীগ সরকারের প্রশ্রয় ও যোগসাজশে হয়েছে। সাবেক সরকারপ্রধানও এ দায় এড়াতে পারেন না।
শনিবার কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ইনোভা সিকিউরিটিজের শাখা উদ্বোধন ও ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জিয়াউর রহমান।
মাইক্রো-ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান ড. হেলাল বলেন, যখন গণতন্ত্র ও জনগণের প্রতি জবাবদিহি থাকে না, তখন নানান কৌশলে মানুষের সম্পদ হাতিয়ে নেওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। সাবেক সরকার এভাবে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় তাদের অনুগত ব্যক্তিদের বসিয়েছিল। পুঁজিবাজারও এর ব্যতিক্রম নয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, গত দেড় দশকে পুঁজিবাজারে শেয়ারের জোগান যতটা বেড়েছে, চাহিদা ততটা বাড়েনি। এ সময়ে বাজারে যেসব আইপিও এসেছে, তার বড় অংশই নিম্নমানের। এ কারণে বাজারে প্রকৃত চাহিদা তৈরি হয়নি। অনেকে অন্যের দেখাদেখি বিনিয়োগ করে পরে সব হারিয়ে বসে থাকে।
ড. হেলাল বলেন, বিএসইসির বর্তমান কমিশন বাজারে সংস্কার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। যদি তারা বাজার ফাউল প্লে বন্ধ করতে পারে, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয় তাহলে ধীরে ধীরে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে, বাজারে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে। ‘আমি কমিশনকে বলেছি, ভালো শেয়ার নিশ্চিত না হয়ে বাজার নতুন শেয়ার না আনে। কারণ বাজারে ঘিয়ের চেয়ে ছাইয়ের দাম বেশি হলে ঘি নিয়ে কেউ সেই বাজারে আসবে না।
তিনি বলেন, বিশ্বের প্রায় সব দেশেই পুঁজিবাজারে কারসাজি ও দুর্নীতি হয়। তবে সেখানে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশে অপরাধ করে সবাই পার পেয়ে গেছে। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ভৈরব পৌরসভার সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট ফখরুল আলম আক্কাছ, ভৈরব বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।