দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পতনের ধারা কেটে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে দেশের পুঁজিবাজার। সপ্তাহজুড়ে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসই পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসের সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। ফলে বিদায়ী সপ্তাহে সূচকের উত্থান হলেও টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। সপ্তাহটিতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। তবে এই বাজারে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে বড় ধরনের দাপট দেখিয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন। গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে বেড়েছে প্রায় ১৫৮ কোটি টাকা।

এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীর কাছে কোম্পানিটির শেয়ার আগ্রহের শীর্ষে চলে আসে। ফলে সপ্তাহজুড়েই শেয়ারের দাম বেড়েছে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে এই কোম্পানির শেয়ার। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের বন্ধ থাকায় গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে এক কার্যদিবস কম লেনদেন হয়েছে।

সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ২৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ৭৭ টাকা ৬০ পয়সা। এতে এক সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে বেড়েছে ১৫৭ কোটি ৯৯ লাখ ১৭ হাজার ৩৭৬ টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৩৯৭ টাকা ৮০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষে ছিল ৩২০ টাকা ২০ পয়সা।

শেয়ারের এমন দাম বাড়া কোম্পানিটি ১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগে ২০২২ সালে ২০ শতাংশ নগদ, ২০২১ সালে ১০ শতাংশ নগদ এবং ২০২০ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।

কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭৬০টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তার কাছে ৪০ দশমিক ৬১ শতাংশ শেয়ার আছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৫৪ দশমিক ১৩ শতাংশই আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫ দশমিক ২১ শতাংশ এবং বিদেশিদের কাছে দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ শেয়ার আছে।