এস আলম কোল্ড স্টিলের দাম উধাও সাড়ে ১৭ কোটি টাকা
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহজুড়ে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে সূচক ও লেনদেন কমলেও বাজার মূলধন বেড়েছে। ফলে সপ্তাহজুড়ে কমছে বেশিরভাগ কোম্পানি শেয়ার ও ইউনিটের দাম । ফলে মূল্যসূচকেরও পতন হয়েছে। এই পতনের বাজারে শেয়ার দাম কমার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল লিমিটেড। সপ্তাজুড়ে দাম কমায় চারদিনেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে সাড়ে ১৭ কোটি টাকার বেশি কমে গেছে। এর মধ্যে বড়দিন উপলক্ষে গত ২৫ ডিসেম্বর পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ ছিল।
ফলে গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে চারদিন। এই চারদিনে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১০১টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ২৫০টির। আর ৪৫টির দাম অপরিবর্তিত। এমন বাজারে বিনিয়োগকারীদের বড় অংশই এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলের শেয়ার কিনতে খুব একটা আগ্রহী না হওয়ায় সপ্তাহজুড়েই দাম কমেছে। ফলে ডিএসইতে দাম কমার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ১৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ১ টাকা ৮০ পয়সা। এতে এক সপ্তাহেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে কমেছে ১৭ কোটি ৭০ লাখ ৬৭ হাজার ৯৮০ টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দাম দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ছিল ১১ টাকা ৫০ পয়সা।
শুধু গত সপ্তাহে নয় কোম্পানির শেয়ারের দরপতন চলছে গত জুলাই মাস থেকেই। গত ৯ জুলাই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ২৬ টাকা ১০ পয়সা। সেখান থেকে ধারাবাহিকভাবে কমে এখন মাত্র ৯ টাকা ৭০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ গত পাঁচ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমে তিন ভাগের এক ভাগে নেমেছে। শেয়ার দামে এমন পতন হওয়া কোম্পানিটি ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। তার আগে ২০২২ সালেও ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। তবে তার আগে ২০২১, ২০২০, ২০১৯, ২০১৮, ২০১৭ এবং ২০১৬ সালে ১০ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দেয়।
২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৯ কোটি ৮৩ লাখ ৭১ হাজার ১০০টি। এর মধ্যে ৪৮ দশমিক ৫০ শতাংশ আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৭ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৪ দশমিক ২৬ শতাংশ আছে।