দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহজুড়ে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে সূচক ও লেনদেন কমলেও বাজার মূলধন বেড়েছে। ফলে সপ্তাহজুড়ে কমছে বেশিরভাগ কোম্পানি শেয়ার ও ইউনিটের দাম । ফলে মূল্যসূচকেরও পতন হয়েছে। এমন পতনের বাজারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশের কাছে কোম্পানিটির শেয়ার আগ্রহের শীর্ষে চলে আসে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দাম বাড়ার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে ৪৯ কোটি টাকার বেশি বেড়েছে। শেয়ারের এমন দাম বাড়লেও কোম্পানিটি পচা ‘জেড’ গ্রুপের তালিকায় রয়েছে।

বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ ছিল। ফলে গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়েছে চারদিন। এই চারদিনে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩ টাকা ২০ পয়সা। এতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ৪৯ কোটি ২৯ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ১০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ছিল ১৮ টাকা ৯০ পয়সা।

শেয়ার দামে এমন উত্থান হওয়া কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। তার আগে ২০২৩ সালে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। তবে ঘোষণা করা লভ্যাংশ সঠিকভাবে বিতরণ না করায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশে কোম্পানিটিকে ‘জেড’ গ্রুপে নিয়ে গেছে ডিএসই।

এদিকে সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটি মুনাফায় রয়েছে। চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ১৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয় ৫২ পয়সা। অর্থাৎ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে।

২০১৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিাটির পরিশোধিত মূলধন ১৫৪ কোটি ৪ লাখ টাকা। আর শেয়ার সংখ্যা ১৫ কোটি ৪০ লাখ ৪৬ হাজার ৪৭৩টি। এর মধ্যে ৫১ দশমিক ৪৮ শতাংশ শেয়ার আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৬ দশমিক ২০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৫ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং বিদেশিদের কাছে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার আছে।