দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন(বিএসইসি) এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃক অনুমোদিত বেক্সিমকো সিনথেটিকসের এক্সিট প্ল্যান অনুযায়ী, ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) বিনিয়োগকারীদের দাবি নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ইতিমধ্যে জানা গেছে যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ অধিকাংশ দাবি নিষ্পত্তি করে ফেলেছে। অবশিষ্ট দাবিগুলি নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে সিএমএসএফ-কে ১০ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে।

বিনিয়োগকারীরা তাদের বেক্সিমকো সিনথেটিকসের শেয়ার সিএমএসএফের বিও একাউন্টে জমা দিলে, সিএমএসএফ ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের নগদ অর্থ প্রদান করবে। সিএমএসএফ এ ব্যাপারে একটি বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যে তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তিন বছরের অধিক পুরনো লভ্যাংশ নিষ্পত্তি করে থাকে।  এ ফান্ডের অপারেশন শুরুর২০২২ সালের পর থেকেএ পর্যন্ত প্রায় ৩০০০ এর অধিক বিনিয়োগকারীদের ৩০২ কোটি টাকা সমমূল্যের ক্যাশ এবং স্টক ডিভিডেন্ট-এর দাবি নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে একজন বিনিয়োগকারী জানান, এতদিন যাবত কোম্পানিগুলো লভ্যাংশ বিতরণ করার ক্ষেত্রে কালক্ষেপণ এবং হয়রানি করত। সিএমএসএফ হওয়ায় অযথা হয়রানি কিছুটা কমেছে। উল্লেখযোগ্য যে, গত ১৪ই নভেম্বর ২০২৪ বিএসইসি-এর বর্তমান চেয়ারম্যান, কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিএমএসএফ পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন যাতে বিনিয়োগকারীদের অধিকার সুরক্ষা হয়। আপাতত সিএমএসএফ এর কোনো বোর্ড না থাকায় এর উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

তবে বিনিয়োগকারীদের দাবি নিষ্পত্তির কাজ শতভাগ চলমান রয়েছে এবং যথাযথ দাবির ভিত্তিতে বিনিয়োগকারীরা তাদের প্রাপ্য লভ্যাংশ বুঝে পাচ্ছেন।এ পর্যন্ত ইস্যুয়ার কোম্পানিগুলো থেকে সিএমএসএফ ১০০০ কোটি টাকা সমমূল্যের স্টক এবং ৬৫০ কোটি টাকার অদাবীকৃত ক্যাশ ডিভিডেন্ড গ্রহণ করছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব প্রায় ১০০ কোটি টাকারও অধিক উদ্বৃত্ত (সুদ ও বিনিয়োগের লভ্যাংশ বাবদ) রয়েছে বলে অর্ধবার্ষিক রিপোর্টে উল্লেখ আছে।