ডিএসইতে টানা পাঁচ কার্যদিবস পর দরপতনের পর সূচকের উত্থান

শহীদুল ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: টানা পাঁচ কার্যদিবস দরপতনের পর সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে সূচকের উত্থান হলেও আতঙ্ক কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। কারণ এর আগেও টানা দরপতনের পর মাঝে মধ্যে সূচকের উত্থান হলেও তা স্থায়ী হয়নি। ফলে বিনিয়োগকারীরা একটি স্থিতিশীল পুঁজিবাজারের দাবী জানিয়েছেন। যেখানে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদে বিনিয়োগ করতে পারবেন। এদিকে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি বাজারটিতে বেড়েছে মূল্যসূচক। সেইসঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে আগামী তিন-চার মাস অর্থাৎ জুনের আগে দেশের পুঁজিবাজার গতি ফিরে পাবে বলে মনে করছেন ডিএসই’র চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে পুঁজিবাজার টাক্সফোর্স কাজ করছে। এরই মধ্যে সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে। জুনের মধ্যে সব সংস্কার শেষ হবে না। তবে কিছু সংস্কার হয়ে যাবে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে সহায়তা করবে বলে মনে করছেন ডিএসই চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম। তবে ডিএসইর চেয়ারম্যানের এমন বক্তব্যে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা আশার আলো দেখতে শুরু করছেন।
একাধিক বিনিয়োগকারীর সাথে আলাপকালে বলেন, বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে আমরা পুঁজি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। এর আগে মাঝে মধ্যে সূচকের উত্থান হলে তা স্থায়ী হয়নি। তাই আমরা একটি স্থিতিশীল বাজারের দাবী জানাই।
জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১৪৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৫৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯০২ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৪০০ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৭২ টির, দর কমেছে ১৬০ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৪ টির। ডিএসইতে ৩৬৮ কোটি ৯৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৬৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকার ।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৩৬৮ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৯৫ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৫ টির দর বেড়েছে, কমেছে ৮১ টির এবং ২৯ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৩ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।