পুঁজিবাজারে টানা তিন কার্যদিবস সূচকের উত্থানে স্বস্তির আভাস

শহীদুল ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দীর্ঘ দরপতনের বৃত্ত থেকে বের হয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে দেশের পঁজিবাজার। ফলে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এর ফলে টানা তিন কার্যদিবস পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থানে কিছুটা স্বস্তিতে বিনিয়োগকারীরা। এছাড়া সূচকের উত্থানের পাশাপাশি অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি মূল্যসূচকও বাড়ছে। সেই সঙ্গে লেনদেনের গতিও বাড়তে শুরু করেছে।
৩০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে যাওয়া লেনদেন এখন ৫০০ কোটি টাকার কাছাকাছি চলে এসেছে। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহের তিন কার্যদিবসেই উভয় পুঁজিবাজার মূল্যসূচক বাড়লো। এর আগে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসেই পুঁজিবাজারে দরপতন হয়। এতে এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমে দুই হাজার ৬৫৮ কোটি টাকা। আর প্রধান মূল্যসূচক কমে ৬০ দশমিক ৫১ পয়েন্ট।
এদিকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ আজ দেশের বাহিরে ছুটিতে যাচ্ছেন। তবে এটি তাঁর বাধ্যতামূলক ছুটি না হলেও এমন খবরে উচ্ছ্বসিত সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। যার সুবাতাস লক্ষ্য করা গেছে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে লেনদেনে।
অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারী প্রভাষক কাজী হোসাইন আলী বলেন, টানা দরপতনের পর পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ালো বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা পায়। কিন্তু এর পর যখন আবার ধারাবাহিক পতনে আটক যায় পুঁজিবাজার তখন আস্থাহীনতা তৈরি হয়। পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা যারা আছেন, তাদের পর্যায়ক্রমে বাজারের গতিশীলতা ধরে রাখার জন্য কাজ করা উচিত। তবে প্রতিদিন সব প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বাজারে নতুন বিনিয়োগ করবেন, সেটা ঠিক নয়। এ জন্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি আইসিবির বিনিয়োগ পরিকল্পনা গ্রহন করা উচিত।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন সূচকের সাথে বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর ও টাকার পরিমাণে লেনদেন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ২০২ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৭২ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯২৫ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৪০১ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৫ টির, দর কমেছে ১৫৬ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৮০ টির। ডিএসইতে ৪৯৯ কোটি ১৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৭২ কোটি ২২ লাখ টাকা বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪২৬ কোটি ৯২ হাজার টাকার ।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫১১ পয়েন্টে। সিএসইতে ২৮৭ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৫ টির দর বেড়েছে, কমেছে ৬১ টির এবং ৩১ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।