সিএসইর নতুন সময়সূচিতে লেনদেনের সিদ্ধান্ত স্থগিত

দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটে অবশেষে নতুন সময়সূচিতে লেনদেনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। আজ রোববার থেকে সকাল ১০টার পরিবর্তে সকাল সাড়ে ৯টায় লেনদেন শুরু করার নতুন সিদ্ধান্ত থেকে আপাতত সরে এসেছে সিএসই। সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) অনুরোধের প্রেক্ষিতে লেনদেনের এই নতুন সূচি স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার সব ট্রেকহোল্ডারকে চিঠি দিয়ে এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেনের সময় ৪৫ মিনিট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চিঠিতে ট্রেকহোল্ডারদেরকে নতুন সময়সূচি অনুসারে লেনেদেন পরিচালনার প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
এ বিষয় সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, আমরা লেনদেন সূচি এগিয়ে এনে সকাল দশটার পরিবর্তে সাড়ে ৯টায় শুরু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু ডিএসইর অনুরোধের প্রেক্ষিতে আপাতত এক সপ্তাহের জন্য তা স্থগিত করা হয়েছে। লেনদেন সূচি নিয়ে ডিএসইর সঙ্গে আলোচনা করে আমার আমাদের সিদ্ধান্তের কথা জানাবো। তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী লেনদন সময় বাড়ানোর সুযোগ থাকায় আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। যেহেতু সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ তুলনামূলক কম হয় সেজন্য আমরা লেনদেন সময় আধ ঘণ্টা বাড়ানোর চিন্তা করেছি।
সময়সূচি পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জ তার বিধিমালা অনুযায়ী তার লেনদেনের সময় নির্ধারণ করতে পারে। তারা কখন লেনদেন শুরু করবে কখন শেষ করবে এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কোন কিছু করার নেই। তবে বিশেষ সময়ে বা পরিস্থিতির কারণে লেনদেন সূচি বিএসইসি নির্ধারণ করে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনার সময় স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন সূচি বিএসইসি নির্ধারণ করে দিয়েছিল।
এদিকে সিএসইর লেনদেন সময় পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রোকারেজ হাউসের সংগঠন ডিবিএ। ডিবিএর পক্ষ থেকে লেনদেন সময় আগের মতো যথানিয়মের ১০টায় শুরুর জন্য সিএসইর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডিবিএ বলছে, কোনো একটি দেশে একই টাইম জোনে একাধিক স্টক এক্সচেঞ্জে পৃথক ট্রেডিং সময়সূচি থাকার বিষয়টি নজিরবিহীন ও চিন্তাবহির্ভূত।
ডিএসই ও সিএসই উভয় এক্সচেঞ্জে একই সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয় হয়। প্রতিদিন একই সময়ে একই সঙ্গে ট্রেডিং শুরুর ফলে বিনিয়োগকারীরা উভয় এক্সচেঞ্জ যাচাই-বাছাই করে প্রতিযোগিতামূলক উপযুক্ত দরে তাদের চাহিদামাফিক শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করে থাকেন। ডিএসই অপেক্ষা সিএসইর শেয়ার ভলিউম পাঁচ শতাংশের মতো। ট্রেডিং কার্যক্রম ও ভলিউমের দিক থেকে সিএসইর অবস্থান বিবেচনা করলে ভলিউমের স্বল্পতা এবং সব ব্রোকারের অংশগ্রহণ সীমিত হওয়ার কারণে প্রারম্ভিক ট্রেডিংয়ে শেয়ার প্রাইস ডিসকভারি বাধাগ্রস্ত হবে।