পাওয়ার গ্রিডের দাম উধাও ৭৭৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: টানা পতন থেকে বেরিয়ে গত সপ্তাহে দেশের পুঁজিবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। এমন ঊর্ধ্বমুখী বাজারেও বিপরীত পথে হেঁটেছে কিছু কোম্পানি। দাম বাড়ার বদলে এসব কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। দাম কমার এ তালিকায় নেতৃত্ব দিয়েছে পাওয়ার গ্রিড।
সপ্তাহজুড়ে দাম কমায় পাঁচ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম সম্মিলিতভাবে ৭৭৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকার ওপরে কমে গেছে। বিনিয়োগকারীদের বড় অংশই এই কোম্পানির শেয়ার কিনতে খুব একটা আগ্রহী না হওয়ায় সপ্তাহজুড়েই কমেছে দাম। ফলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) দাম কমার শীর্ষস্থান দখল করেছে এই কোম্পানিটি।
গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ২১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ৮ টাকা ৫০ পয়সা। এতে এক সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম সম্মিলিতভাবে কমেছে ৭৭৬ কোটি ৭৩ লাখ ৫৯ হাজার ৪২৩ টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ১০ পয়সা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ছিল ৩৯ টাকা ৬০ পয়সা।
শেয়ারের দামে এমন পতন হওয়া কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ দেয়নি। তার আগে ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। তার আগে ২০২২ সালে ১০ শতাংশ নগদ, ২০২১ সালে ২০ শতাংশ নগদ এবং ২০২০ ও ২০১৯ সালেও ২০ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।
২০২৩ সাল পর্যন্ত নিয়মিত বিনিয়োগকারীদের ভালো লভ্যাংশ দিলেও ২০২৪ সালে লোকসানে পতিত হওয়ায় কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয়নি। এছাড়া সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর এই তিন মাসের ব্যবসায় কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ৮১ পয়সা লোকসান করেছে।
২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৯১ কোটি ৩৮ লাখ ৬ হাজার ৯৯১টি। এর মধ্যে ৫৮ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ার আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ, বিদেশিদের কাছে দশমিক শূন্য ১ শতাংশ এবং সরকারের কাছে ২২ শতাংশ শেয়ার আছে।